নিজস্ব প্রতিনিধি, পশ্চিম মেদিনীপুর : বৃহস্পতিবার বিকেলে মেদিনীপুর সদর ব্লকের চাঁদড়ায় তৃণমূলের দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দেন বিধায়ক জুন মালিয়া। সাথে ছিলেন এলাকার তৃণমূল নেতৃত্ব। সেই সভায় দাঁড়িয়েই কার্যত হুঁশিয়ারির সুর মেদিনীপুরের তৃণমূল বিধায়কের গলায়। দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে তাঁর স্পষ্ট বার্তা, "দয়া করে গ্রুপ বাজি বন্ধ করুন। অনেক হয়েছে, আর নয়। যারা গ্রুপ বাজি,ঝগড়া করবে তাদের কিন্তু আর তৃণমূল কংগ্রেসে স্থান হবে না। তৃণমূল নেত্রী এটা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন। কোন নেতার স্ত্রী, দিদি, বোন বলে আপনারা এই পঞ্চায়েতে প্রার্থী হতে পারবেন না। তবে যোগ্য হলে অবশ্যই পাবে। কোন সংরক্ষিত আসনে নেতার বউ বসে গেছে, সেই বউ বাড়িতে রান্না করছে আর নেতা ছড়ি ঘোরাচ্ছে- সেটা চলবে না। মহিলা আসন হলে মহিলারা এগিয়ে আসুন। কোন গ্রুপ চলবে না। একজোট হয়ে প্রত্যেকটা ব্লকে গিয়ে মিটিং করবেন। দরকার পড়লে অন্য অঞ্চলে গিয়েও মিটিং করতে হবে।" তবে বিধায়কের এমন বক্তব্যের পর খুব স্বাভাবিকভাবেই জেলাজুড়ে জারি রাজনৈতিক তরজা। জেলা বিজেপির মুখপাত্র অরূপ দাস সরাসরি খোঁচা দিয়েছে জুন মালিয়াকে। অরূপ দাস বলেন, " যে দলটা গোষ্ঠী কোন্দল থেকে তৈরি সেটা কখনও গোষ্ঠী কোন্দল ছেড়ে থাকতে পারে না৷ উনি নিজেও সেটা জানেন৷ কয়েকদিন আগেও বিধায়ক শিউলি সাহাও বলেছিলেন৷ এটা কথার কথা, সেটা সবাই জানেন ৷ জুন মালিয়ার সাথেই দলের জেলা সভাপতিরই গোষ্ঠী রয়েছে৷"
উল্লেখ্য, দিনকয়েক আগে দলের অন্তর্কলহ প্রসঙ্গে মুখ খুলেছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী শিউলি সাহা। দলের ভেতরে থেকে বিরোধিতাকে কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবে না তাই কার্যত স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। দলের কেশপুর এলাকার গোষ্ঠী কোন্দল মেটাতে সম্প্রতি মেদিনীপুরে বৈঠক করেছিলেন তৃণমূলের জেলা কো অর্ডিনেটর অজিত মাইতি। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সকলেই মরিয়া চেষ্টা গোষ্ঠী কোন্দল মেটাতে। কারণ উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দলের সমস্ত নেতা কর্মীরা এক না হলে পঞ্চায়েত জয় কঠিন হবে বলেই মনে করছে শাসকদল। তাই সমস্ত স্তরেই নেতারা সেই বার্তা দিচ্ছেন বৈঠক গুলিতে।