New Update
দিগ্বিজয় মাহালী, পশ্চিম মেদিনীপুর : একমাত্র কর্মী অবসর গ্রহণ করার পর থেকে ৮ মাস ধরে তালাবন্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে চন্দ্রকোনা গ্রামীণ পাঠাগার।দ্রুত কর্মী নিয়োগ করে পাঠাগার চালুর দাবি এলাকাবাসীর।পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডে ঠাকুরবাড়ি বাজারে ১৯৬৫ সালে সরকারি ভাবে গড়ে ওঠে চন্দ্রকোনা গ্রামীণ পাঠাগার। সেই সময় থেকে একজন গ্রন্থাগার ও একজন জুনিয়র লাইব্রেরি অ্যাটেনডেন্ট দিয়ে চলতো পাঠাগারটি। ২০০৭ সালে পাঠাগারের গ্রন্থাগার চঞ্চল কুমার দে মারা যান এবং সেই সময় অবসর নেন পাঠাগারের অপর জুনিয়র লাইব্রেরি অ্যাটেনডেন্ট। ২০০৭ সালে পাঠাগারের একমাত্র গ্রন্থাগার চঞ্চল কুমার দে'র মৃত্যুর পর তার স্ত্রী মালতী দে জুনিয়র লাইব্রেরি অ্যাটেনডেন্ট হিসাবে চন্দ্রকোনা গ্রামীণ পাঠাগারে কাজে যোগ দেন।তারপর থেকে মালতী দেবী একাই এই পাঠাগারের দায়িত্বভার সামলে এসেছেন। চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি অবসর নেন পাঠাগারের একমাত্র কর্মী মালতী দে আর তারপর থেকে কোনও কর্মী নিয়োগ না হওয়ায় প্রায় ৮ মাস পেরিয়ে গেলো তালাবদ্ধ অবস্থায় পড়ে চন্দ্রকোনা শহরের বহু পুরানো এই সরকারি গ্রামীণ পাঠাগারটি।
বর্তমানে এই পাঠাগারে তিন হাজারেরও বেশি বই রয়েছে বলে জানা গেছে। কর্মীর অভাবে পাঠাগারে তালা পড়ে যাওয়ায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী থেকে পাঠাগারের সদস্যরা।কর্মীর অভাবে বন্ধ পাঠাগার তা স্বীকার করে ৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বনশ্রী সাহা জানান, 'বিষয়টি আমিও শুনেছি। এবিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবো এবং পাঠাগারটি চালুর জন্য আমিও চেষ্টা করবো।' এবিষয়ে চন্দ্রকোনা পৌরসভার চেয়ারম্যান প্রতিমা পাত্র জানান, 'বহু পুরানো চন্দ্রকোনা গ্রামীণ পাঠাগার,একজন কর্মী নিয়ে চলছিল, সে অবসর নেওয়ায় পাঠাগারটি বন্ধ হয়ে গিয়েছে শুনেছি।তবে পুনরায় পাঠাগারটি যাতে চালু করা যায় সেবিষয়ে চেষ্টা করবো এবং এবিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবো।' এখন দেখার কর্মীর অভাবে বন্ধ হয়ে পড়ে থাকা পুরানো এই সরকারি পাঠাগারটিতে কবে কর্মী নিয়োগ হয় এবং তা কবে পুনরায় বই প্রেমীদের জন্য চালু হয়।
TRENDINGNEWSTODAY
breakingnews
chandrokona
bengal
library
india
importantnews
westmedinipur
Banglanews
BengaliNewsLive
bengalinews
anmnews
dailynewsupdate
dailynews
newsupdates
samachar
latestnews
news