'পুষ্পা' সিনেমার কায়দায় শাল কাঠ পাচারের চেষ্টা মেদিনীপুর শহরে

author-image
Harmeet
New Update
'পুষ্পা' সিনেমার কায়দায় শাল কাঠ পাচারের চেষ্টা মেদিনীপুর শহরে

নিজস্ব সংবাদদাতা, মেদিনীপুরঃ মেদিনীপুরে লরি থেকে বোটে লোড করে কংসাবতী নদীপথে পাচার হচ্ছিল শাল কাঠ। খবর পেয়ে হানা দেয় বনদপ্তর। বনদপ্তরের লোকজনকে দেখে বোটটি খড়গপুর গ্রামীণের দিকে নদীপথে পালিয়ে গেলেও আটক করা হয় লরি ও বহু শাল কাঠ। ওই লরিতে তিনশোর বেশি শাল কাঠ ছিল বলে জানা গিয়েছে। অন্ধকারে এই কাঠ স্থানান্তরের চেষ্টায়  গড়বড় বুঝতে পারেন স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী লোকজন। খবর যায় বনদপ্তরে। বনদপ্তর এসে ঘিরে ফেলতেই ফেরার বোট। কাঠ বিক্রেতা লোকজন বনদপ্তরের কাজে বাধা দেয় বলে অভিযোগ। খবর যায় গুড়গুড়িপাল থানায়। ছুটে আসে পুলিশও। বনকর্তারা কাগজপত্রে অসংগতি দেখতে পেয়ে কাঠ ও লরি আটক করে নিয়ে যায়। পুরো "পুষ্পা" সিনেমার কায়দাতে নদীপথে কাঠ নিয়ে যাওয়ার এই চিত্রটি ধরা পড়েছে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মেদিনীপুর শহর সংলগ্ন ডিএভি ঘাটে। বনদপ্তর জানিয়েছে, "আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।"


জানা গিয়েছে, মেদিনীপুর শহর সংলগ্ন ডিএভি কংসাবতী নদীর ঘাটে কাঠ ভর্তি একটি লরি এসে দাঁড়িয়েছিল। লরিটি রাঙ্গামাটির কোন একটি স্থান থেকে কাঠগুলো নিয়ে নদীর অপরপ্রান্তে পাঠানোর চেষ্টা করছিল। রাঙ্গামাটি এলাকার স্থানীয় এক ব্যবসায়ীর কাঠ সেগুলো। অন্ধকারে লরি থেকে শাল কাঠ নামিয়ে নদীপথে একটি বোটের মাধ্যমে অপরপ্রান্তে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে দ্রুত সেখানে হাজির হয় বনদপ্তরের আধিকারিকরা। ছিলেন গোপগড় বিট অফিসার শীতল ভূঁইয়া, বনকর্মী মলয় নন্দী ও অন্যান্যরা। বনদপ্তরকে আসতে দেখেই নদীপথে কাঠ বোঝাই বোট ফেরার। বাকি কাঠগুলো আটকে রেখে পরীক্ষা করতে গেলে ব্যবসায়ী ও তার সঙ্গীরা বনদপ্তরের সঙ্গে তর্ক শুরু করে দেয়। বনদপ্তরের কাছে খবর পেয়ে সেখানে ছুটে আসে গুড়গুড়িপাল থানার পুলিশ। বনদপ্তরের কর্তারা ওই কাঠ বিক্রির বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করলে সঠিক উত্তর পায়নি। কয়েক মাস আগেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে হুঁশিয়ারি দিয়ে পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার জানিয়ে দিয়েছিলেন রাতের অন্ধকারে কোথাও কাঠ নিয়ে যাতায়াত করা যাবে না। তাই অন্ধকারে এবং নদীপথে কেন কাঠ নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তার কোন সদুত্তর দিতে পারেনি লরির সঙ্গে থাকা লোকজন। সেই সঙ্গে লরির নিজস্ব কোন বৈধ কাগজপত্র পাওয়া যায়নি বলে দাবি বনদপ্তরের। সূত্রে খবর, ওই কাঠগুলো নিয়ে যাওয়ার জন্য যে লরিকে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল, কাগজপত্র অনুযায়ী ওই লরিটি নয়। এই বিষয়ে ওই ব্যবসায়ী থেকে বনদপ্তর সংবাদমাধ্যমের সামনে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি। তবে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ও বনদপ্তর।