খেলার মাঠ দখলের চেষ্টা, প্রতিবাদ

author-image
Harmeet
New Update
খেলার মাঠ দখলের চেষ্টা, প্রতিবাদ


সংবাদদাতা, লাউদোহা :- দীর্ঘদিনের খেলার মাঠ ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। মাঠ দখল করার চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের একাংশের। মাঠ বাঁচাতে প্ল্যাকার্ড হাতে মিছিল পরে লাউদোহার ফরিদপুর থানা, বিডিও অফিস এবং বিএলআরও অফিসে স্মারকলিপি জমা দিলেন স্থানীয়দের একাংশের। দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লকের ইচ্ছাপুর পঞ্চায়েতের সরপী গ্রামের বাদ্যকর পাড়া সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে দীর্ঘদিনের একটি খেলার মাঠ। মাঠটি 'রথীরাম বেড়া' মাঠ নামে এলাকায় পরিচিত। এই মাঠে প্রজন্মের পর প্রজন্ম খেলাধুলা করে আসছে বলে স্থানীয়দের দাবি। এলাকায় রয়েছে ইয়ং স্পোর্টিং নামে একটি ক্লাব। ক্লাবের পক্ষে ছোটু বাদ্যকর, সোমেন মুখার্জিরা জানান, এই মাঠে ক্রিকেট, ফুটবল সহ অন্য সব ধরনের খেলাধুলা হয়। স্থানীয় ছেলেরা এই মাঠে অনুশীলন করে। আয়োজিত হয় বিভিন্ন খেলার প্রতিযোগিতাও। বছর দুয়েক আগে গ্রামের একটি পরিবার মাঠটি তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি বলে দাবি করেন।‌ সেই সময় প্রথমবার মাঠ দখল করার চেষ্টা হয়েছিল। স্থানীয়রা বিষয়টি নিয়ে সে সময় পঞ্চায়েত, থানা, বিডিও ও বিএলআরও অফিসে প্রতিবাদ জানান। তখনকার মত বিষয়টি মিটে যায়। কিন্তু গত শুক্রবার রাতের অন্ধকারে মাঠের বেশ কয়েক জায়গায় জেসিপি মেশিন লাগিয়ে মাটিকাটা হয়। মাঠের বিভিন্ন জায়গায় স্তুপ করে রাখা হয় ভাঙা ইট, পাথর, মাটি। ফলে বন্ধ হয়ে যায় খেলাধুলো। বিষয়টি নজরে আসতেই প্রতিবাদে সরব হন স্থানীয়রা। রবিবার বিকেলে মাঠ বাঁচাও প্ল্যাকার্ড হাতে মিছিল করে স্থানীয় ইয়ং স্পোর্টিং ক্লাবের সদস্যরা। সেই মিছিলে ক্লাব সদস্যরা ছাড়াও পা মেলান স্থানীয়দের একাংশ। মাঠ বাঁচাতে লাগাতার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলেও জানান ছোটু বাধ্যকর, সোমেন মুখার্জিরা। তবে মাঠ দখলের অভিযোগ উঠছে যে পরিবারটির বিরুদ্ধে এদিন তাদের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। একই বিষয়ে সোমবার বেলা ১২ টা নাগাদ সরপী গ্রামের বাদ্যকর পাড়ার বাসিন্দারা লাউদোহার ফরিদপুর থানা, দুর্গাপুর ফরিদপুর ব্লক অফিস ও বিএলআরও দপ্তরে স্মারকলিপি জমা দেয় । গ্রামবাসীদের পক্ষে সৌমেন মুখার্জি জানান, তারা প্রশাসনিক সব দপ্তরকেই এই বিষয়ে জানিয়েছেন। সৌমেন মুখার্জি আরও জানান, এরপর কাজ না হলে গ্রামের মানুষ নিজেরাই মাঠ পরিষ্কার করবে, খেলার উপযুক্ত করে তুলবে মাঠ। এতে কেও বাধা দিতে এলেই খেতে হবে ঝাঁটাপেটা বলে হুঁশিয়ারি তাদের ।