NAAC এর মুল্যায়নে ডেবরা কলেজ পেয়েছে 'এ' গ্রেড, শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে ডেবরা বাসীকে শুভেচ্ছা জানালো কলেজ কর্তিপক্ষ ও পড়ুয়ারা

author-image
Harmeet
New Update
NAAC এর মুল্যায়নে ডেবরা কলেজ পেয়েছে 'এ' গ্রেড, শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে ডেবরা বাসীকে শুভেচ্ছা জানালো কলেজ কর্তিপক্ষ ও পড়ুয়ারা

দিগ্বিজয় মাহালী, পশ্চিম মেদিনীপুর: কদিন আগেই ডেবরা থানা শহীদ ক্ষুদিরাম স্মৃতি মহাবিদ্যালয় বা ডেবরা কলেজ NAAC এর পঞ্চবার্ষিক মূল্যায়নে 'এ' গ্রেড কলেজ হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে। কলেজের এই সাফল্যে গর্বিত কলেজ কর্তিপক্ষ। এই কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয় ২০০৬ সালে। মাত্র ষোলো বছরে 'এ' গ্রেড কলেজে পরিণত হওয়া বিরাট সাফল্য বলেই মনে করছেন কলেজের পরিচালন কমিটির সভাপতি তথা বিধায়ক ডঃ হুমায়ুন কবীর ও কলেজের অধ্যক্ষা রুপা দাশগুপ্ত। এটি কলেজের দ্বিতীয় NAAC মূল্যায়ন। এর আগে ২০১৭ সালে এই কলেজ 'বি' গ্রেড পেয়েছিল এবং CGPA ছিল চারের মধ্যে ২.০১। সেখান থেকে বি প্লাস ও বি প্লাস প্লাস পেরিয়ে সরাসরি 'এ' গ্রেড ও CGPA ৩.০২ -এ পৌঁছে গিয়েছে নবীন এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এই সাফল্যে কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি ও সদস্যবৃন্দ, বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উচ্চশিক্ষা দপ্তর, অধ্যাপক-অধ্যাপিকা, শিক্ষাকর্মী, ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক-অভিভাবিকা, প্রাক্তনী সকলের অবদান অনস্বীকার্য। তেমনই এই কলেজ যাঁদের সাংস্কৃতিক আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক সেই ডেবরা ব্লকের জনসাধারণের সহযোগিতা ও সদিচ্ছা ছাড়া কলেজের বিকাশ সম্ভব ছিল না বলেই অকপটে স্বীকার করলেন কলেজের অধ্যক্ষা। তিনি বলেন, "ডেবরাবাসীকে আমাদের আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাতে আজ ডেবরা কলেজ থেকে ডেবরা বাজার পর্যন্ত একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। ধামস-মাদল, প্লাকার্ড হাতে বিভিন্ন বার্তা নিয়ে শোভাযাত্রায় সামিল হয় হাজারের বেশি পড়ুয়া৷ এই বিষয়ে বিধায়ক হুমায়ুন কবীর বলেন, "এখনও পর্যন্ত সারা ভারতে NAAC - স্বীকৃত ৩১৭৬ টি কলেজ(১লা জুলাই ২০১৭ - ২৯ অক্টোবর, ২০২২) রয়েছে, তার মধ্যে ১২.৮ শতাংশ কলেজ 'এ' গ্রেড পেয়েছে। গ্রামের এই নবীন কলেজ ভারতের সেই ১২.৮ শতাংশ কলেজের একটি। এটি অত্যন্ত গৌরবের বিষয়। পশ্চিমবঙ্গে এই মুহূর্তে NAAC- এর স্বীকৃতির মেয়াদ বহাল আছে এমন মাত্র পনেরোটির মতো কলেজের 'এ' বা তদূর্ধ্ব গ্রেডে রয়েছে। এদের মধ্যে অধিকাংশ কলেজেই নতুন পদ্ধতিতে ন্যাক মূল্যায়ন করানো হয়নি। ফলে এই অল্প কয়েকটি শিরোমণি কলেজের মধ্যে থাকতে পেরে আমরা আনন্দিত ও গর্বিত"। এই কলেজে মোট ২১ টি বিষয় পড়ানো হয় যার মধ্যে রয়েছে ইংরেজি স্নাতকোত্তর ডিগ্রি, অটোমোবাইল বি ভোক এবং মেডিক্যাল ল্যাবোরেটরি টেকনোলজির স্নাতক ডিগ্রি। সর্বাধুনিক পরীক্ষাগার, কম্পিউটারাইজড লাইব্রেরি, ই-লাইব্রেরি, জিমনাসিয়াম, লোকসংস্কৃতি যাদুঘর, ভাষা পরীক্ষাগার, আবহাওয়া কেন্দ্র, অটোমোবাইল কর্মশালা, স্টুডিয়ো ক্লাসরুম রয়েছে। রয়েছে ৩১-টি আইসিটি সুবিধাযুক্ত সর্বাধুনিক ক্লাসরুম। দু'টি বড় আইসিটি সুবিধাযুক্ত সভাগৃহ। ছাত্রীদের হোস্টেল রয়েছে। মাশরুম চাষ, ভার্মিকম্পোস্ট ও জৈবগ্যাস উৎপাদন করা হয়। ডব্লিউবিসিএস সহ প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালু হয়েছে কলেজে। নিয়মিত ক্যাম্পাস ইন্টারভিউ-এর মাধ্যমে বর্তমান ও বিদায়ী ছাত্র-ছাত্রীদের বিভিন্ন বেসরকারি ক্ষেত্রে চাকরির ব্যবস্থা করা হয়। প্রায় দু'বছর লকডাউন পরিস্থিতির মধ্যেও কলেজ তার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে পেরেছে যখন ছাত্র-ছাত্রীদের সেমেস্টার ফি অর্ধেকেরও বেশি মকুব করা হয়েছিল। এই উন্নয়ন আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চাওয়ার বার্তা দেওয়া হয়েছে কলেজের তরফে। ভবিষ্যতে এই কলেজকে শ্রেষ্ঠ মেধালালন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে কলেজ কর্তিপক্ষ বদ্ধপরিকর বলে দাবি করা হয়েছে।