বাংলাদেশে বিশ্ব শহর দিবস

author-image
Harmeet
New Update
বাংলাদেশে বিশ্ব শহর দিবস
হাবিবুর রহমান, ঢাকাঃ শহরকে ঘিরেই বর্তমান সভ্যতা আবর্তিত হচ্ছে। মানুষ আসলে দিন দিন শহরকেন্দ্রিক হয়ে পড়ছে। গ্রামে অনেকে দুদিনের জন্য ঘুরতে পছন্দ করলেও অধিক সুযোগ সুবিধার কারণে শহরেই বসবাস করতে চায়। এ কারণেই শহরের জনসংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। কিন্তু যেসব সুযোগ সুবিধা পাওয়ার জন্য মানুষ শহরে যাচ্ছে, সেই সুযোগ সুবিধাগুলোও তো বজায়ও রাখতে হবে। সেই বিষয়টি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রতিবছর ৩১ অক্টোবর জাতিসংঘের উদ্যোগে পালন করা হয় বিশ্ব শহর দিবস।


বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা গড়ে উঠেছে অপরিকল্পিতভাবে, একটি নগরে সব ধরনের নাগরিক সুযোগ সুবিধা থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। ঢাকা আর নাগরিক সমস্যা সমার্থক শব্দে পরিণত হয়েছে বহু আগেই। ঢাকাকে ভাবা হয় দুনিয়ার সবচেয়ে অপরিচ্ছন্ন মেগাসিটি হিসেবে। যানজটের নগরী যেন ঢাকার পরিচিতির অনুষঙ্গে পরিণত হয়েছে।
 
জলাবদ্ধতা ঢাকার একাংশের ঘাড়ে এমনই চেপে বসেছে, কোনটি রাস্তা আর কোনটি নর্দমা- তা উপলব্ধি করাও কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। মশার উৎপাতে ঢাকার কোনো কোনো এলাকায় দিনের বেলায়ও স্বস্তিতে থাকা যায় না। যানজট, গ্যাস-বিদ্যুৎ-জল সংকট, পয়ঃনিষ্কাশনের জটিলতা, দুর্গন্ধময় ও বিষাক্ত বাতাস, দূষিত পরিবেশ, অসম্ভব ঘনবসতি, ভেজাল খাবার, আকাশছোঁয়া দ্রব্যমূল্য, লাগামহীন বাসাভাড়া, রাজনৈতিক অস্থিরতা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ক্রমাবনতি ইত্যাদি নানা সমস্যায় মানুষ একেবারে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। ঢাকা শহরটিতে এই অবস্থা বিরাজ করছে অনেক বছর ধরে। দিনে দিনে অবস্থা কঠিন থেকে কঠিনতর হচ্ছে। সুষ্ঠু পরিকল্পনা এবং যথাযথ তদারকির অভাবে ঢাকার আজ দুর্বিষহ অবস্থা।

 চারশো বছর আগে যাত্রা শুরু করা বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা শহরকে সজীব রেখেছিল বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, তুরাগ, কালীগঙ্গা ও বালু নদীর প্রবাহ। চারদিকে ছিল গাছগাছালি আর সবুজের সমারোহ। আর রমনা পার্ক সুশীতল ছায়া দিয়ে ঘিরে রেখেছিল ঢাকাকে। চারদিকে নদী, ভেতরে অসংখ্য খালবিলের ঢাকাকে ক্যানেল সিটিতে রূপান্তরিত করা সম্ভব ছিল। আজ সোমবার বিশ্ব শহর দিবসে সেই স্বপ্ন, সেই চেতনাই জেগে উঠুক। ঢাকাসহ সব শহর সুন্দর হয়ে উঠুক।