ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং তাণ্ডবে বাংলাদেশে ১২ জন নিহত

author-image
Harmeet
New Update
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং তাণ্ডবে বাংলাদেশে ১২ জন নিহত



হাবিবুর রহমান, ঢাকা:
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং তাণ্ডব চালিয়ে বাংলাদেশে ৭ জেলায় অন্তত ১২ জনের প্রাণ কেড়েছে। সোমবার সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আঘাতে গাছ চাপা, দেয়াল চাপা ও নৌকাডুবিতে তাদের মৃত্যু হয়। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে স্পষ্ট হচ্ছে বাংলাদেশের ক্ষয়ক্ষতির চিত্র। জানা গেছে, ভারি বর্ষণ আর স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে কয়েক ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস সঙ্গী করে সোমবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করেছে ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’। এর কয়েক ঘণ্টা আগে থেকেই ঝড়ো হাওয়া আর ভারী বর্ষণ শুরু হয় উপকূলের জেলাগুলোতে। সোমবার সন্ধ্যা থেকেই বিভিন্ন উপকূলীয় জেলায় গাছ ভেঙে সড়ক বন্ধ হয়ে যাওয়ার খবর আসতে থাকে, বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে ও তার ছিঁড়ে বহু এলাকা অন্ধকারে ডুবে যায়। এর মধ্যে কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে একই পরিবারের ৩ জন, ভোলায় ৩ জন, সিরাজগঞ্জে ২ জন ও শরীয়তপুর, বরগুনা, নড়াইল, ঢাকায় একজন করে মারা গেছে।













তবে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কেটেছে উপকূলবাসীর। জান-মালের ক্ষয়ক্ষতির শঙ্কায় বহু মানুষ নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন। ভোর হতেই আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান নেওয়া মানুষেরা অনেকটা স্বস্তির সঙ্গে ফিরে গেছেন নিজ নিজ বাড়িতে। বাংলাদেশের আকাশে দেখা দিয়েছে সূর্য। সম্পূর্ণ শক্তি নিয়ে উপকূলে আঘাত হানার পর দুর্বল হয়ে স্থল নিম্নচাপে রূপ নিয়েছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। বাংলাদেশে সমুদ্র বন্দরগুলোকে ৭ নম্বর বিপৎসংকেত কমিয়ে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।