মেদিনীপুর সদরে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ পাইয়ে দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগ, আদালতের দ্বারস্থ

author-image
Harmeet
New Update
মেদিনীপুর সদরে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ পাইয়ে দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগ, আদালতের দ্বারস্থ



দিগ্বিজয় মাহালী: একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ পাইয়ে দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগ উঠল মেদিনীপুর সদরে। ঘটনাটি মেদিনীপুর সদরের গুড়গুড়িপাল থানার চাঁদড়া এলাকায়। ঋণ পরিশোধের জন্য বারবার ব্যাঙ্ক থেকে চিঠি দেওয়া হচ্ছে ওই সমস্ত গ্রাহকদেরকে। ঋণের টাকা পাইনি জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ গ্রাহকরা। ওই গ্রাহকরা সকলে চাঁদড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দা। তারা জানিয়েছেন, ২০১২ সালে ব্যাঙ্ক থেকে ৫০ হাজার টাকা ঋণ পাইয়ে দেওয়া হবে এবং তা থেকে ৫ হাজার টাকা ছাড় পাওয়া যাবে - এমন জানিয়ে চাঁদড়ার এক স্থানীয় যুবক তাদের কাছ থেকে সমস্ত নথি নেয়। ওই যুবক ব্যাঙ্কের বাইরে ফর্ম পূরণ সহ বিভিন্ন সহযোগিতা করতেন। নথি জমা দেওয়ার কিছুদিন পর অ্যাকাউন্টে ৫ হাজার টাকা ঢোকে। বাকি টাকা পরে ঢুকবে বলা হয়। এমনটাও জানানো হয় যে বাকি টাকা না ঢুকলেও আগের ৫ হাজার টাকা শোধ করতে হবে না আর। এভাবে কয়েক বছর পেরিয়ে যাওয়ার পর ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ পরিশোধের চাপ আসতেই ঘুম ছুটেছে গ্রাহকদের। ঢড়রাশোলের বাসিন্দা শান্তুনু মাহাতো-র অভিযোগ করে বলেন, "ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে ভোটার কার্ড সহ বিভিন্ন নথিপত্র নেওয়া হয়। তার পরিবর্তে জানানো হয়েছিল, একটি স্কিম এসেছে যেখানে ৫ হাজার টাকা করে ছাড় পাওয়া যাবে ৫০ হাজার টাকা ঋণে। সেই সুযোগ এবং সুবিধা পাওয়ার আশায় ৩০ জনের বেশি এমন পরিবারের সদস্যরা ওই নথি জমা দেয়। কিছুদিন পর ৫ হাজার টাকা করে অ্যাকাউন্টে পেয়ে যায় সকলে। বাকি টাকা আজও পর্যন্ত অ্যাকাউন্টে ঢোকেনি। এতদিন বাদে এবার ঋণ পরিশোধের জন্য ব্যাঙ্ক থেকে চিঠি আসে। ব্যাঙ্কে গিয়ে কথা বলে কোন সুরাহা মেলেনি।" তারা জানতে পারেন ৫০ হাজার টাকা তারা ঋণ নিয়েছেন ব্যাঙ্ক থেকে। যার সুদ সমেত দাঁড়িয়েছে কারও ৯০ হাজার তো কারও এক লক্ষ টাকারও বেশি। পাশাপাশি ওই অ্যাকাউন্টে সরকারি বা বেসরকারিভাবে কোনও টাকা ঢুকলেই তা কেটে নেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে এবার প্রতারিতরা দ্বারস্থ হয়েছেন মেদিনীপুর আদালতের। তাদের অভিযোগ, তৎকালীন ব্যাঙ্কের ম্যানেজারও এই প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত। তদন্ত হলে সঠিক তথ্য উঠে আসবে। বিচারের মাধ্যমে তাদের ঋণ থেকে মুক্ত করে জড়িতদের শাস্তি দেওয়া হোক বলে দাবি জানিয়েছেন তারা।