বরিশাল মহাশ্মশানে দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ দীপাবলি উৎসব উদযাপন

author-image
Harmeet
New Update
বরিশাল মহাশ্মশানে দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ দীপাবলি উৎসব উদযাপন



হাবিবুর রহমান, ঢাকা: দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ দীপাবলি উৎসব উদযাপিত হয়েছে বাংলাদেশের বরিশাল মহাশ্মশানে। ২০০ বছরের অধিক সময় ধরে নগরীর কাউনিয়ার বিসিসিক রোডে অবস্থিত মহাশ্মশান ঘাটে রবিবার উদযাপিত হয় এই উৎসব। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসব কালীপূজার আগের দিন ভূত চতুর্দশীর পুণ্য তিথিতে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা তাদের প্রয়াত স্বজনদের সমাধিতে দীপ জ্বেলে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। শ্রদ্ধা নিবেদনের ধর্মীয় এই আচারটি ২০০ বছর ধরে সার্বজনীন একটি অনুষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। তিথি নক্ষত্র অনুযায়ী রবিবার বিকাল ৫ টা ২৫ মিনিট থেকে সোমবার বেলা ১২ টা ৩১ মিনিট পর্যন্ত এই উৎসব চলবে। সুষ্ঠুভাবে উৎসব উদযাপনের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে মহাশ্মশান রক্ষা কমিটি। পাশাপাশি মৃতদের স্মরণ করতে তাদের স্বজনরা সমাধিগুলো সংস্কার করছে। প্রায় ছয় একর জমির ওপরে অবস্থিত মহাশ্মশান এলাকা বৈদ্যুতিক আলোয় সজ্জিত হয়েছে। রবিবার সন্ধ্যায় মোমবাতির আলোয় উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে উক্ত এলাকা। মহাশ্মশানে কাঁচা-পাকা মিলিয়ে প্রায় ৬৫ হাজার সমাধি রয়েছে। প্রতিবছর কালী পূজার আগের দিন হিন্দু ধর্মালম্বীদের মধ্যে যাঁরা মৃত্যুবরণ করেছেন তাঁদের আত্মার শান্তি কামনা ও নিজের পূণ্য অর্জনের জন্য প্রার্থনার মধ্য দিয়ে দুই দিনব্যাপী দীপাবলি অনুষ্ঠিত হয়। উৎসবে যোগ দিতে বরিশাল মাহাশ্মানে রয়েছেন ভারত সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের হাজার হাজার মানুষ। উল্লেখ্য, দক্ষিন এশিয়ার সর্ববৃহত্তর এই মহাশ্মশানে আছে, কবি জীবনানন্দ দাশের বাবা সত্যানন্দ দাশগুপ্ত, পিতামহ সর্বানন্দ দাশগুপ্ত, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের নেতা বিপ্লবী দেবেন ঘোষ, মনোরমা বসু মাসিমা, দানবীর অমৃতলাল দে, শিক্ষাবিদ কালিচন্দ্র ঘোষ, ২০০৫ সালে ঝালকাঠীতে জেএমবির বোমা হামলায় নিহত বিচারক জগন্নাথ পাঁড়ের সমাধি মন্দিরসহ বহু খ্যাতিমান নারী পুরুষের সমাধি।