কালীপুজো ও দীপাবলি উৎসব ঘিরে বাংলাদেশে সাজ সাজ রব

author-image
Harmeet
New Update
কালীপুজো ও দীপাবলি উৎসব ঘিরে বাংলাদেশে সাজ সাজ রব



হাবিবুর রহমান, ঢাকা:
সোমবার বাংলাদেশ জুড়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা কালীপুজো করবেন। এজন্য দেশব্যাপী পুজোমণ্ডপগুলোতে সাজ সাজ রব বিরাজ করছে।মৃৎশিল্পীরা অত্যন্ত ভক্তিসহকারে মাকালীর প্রতীমা গড়তে চরম ব্যস্ত সময় পার করছেন। চলছে শেষ মূহুর্তের রং-তুলির আঁচর। ভক্তরা মাকালীকে তাঁদের পরম ভক্তিসহকারে পুজো দেবেন। ঢাকার অন্যতম পুজোমণ্ডপগুলো হলো-সিদ্ধেশ্বরী কালীমন্দির, রমনা কালীমন্দির, উত্তরা কালীমন্দির, ঢাকেশ্বরী কালীমন্দির, রাজারবাগ কালীমন্দির।এছাড়া রামকৃষ্ণ মিশন ও মঠ,বনানী মণ্ডপসহ রাজধানী ঢাকার যেসবমণ্ডপে দূর্গাপুজো হয়ে থাকে, সেসবস্থানেও কালীপুজো হয়ে থাকে।কিছু কিছু বাড়িতে অবশ্য ব্যক্তি উদ্যোগেও কালীপুজোর আয়োজন করা হয়েছে।



তবে বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় ও ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার সঙ্গে কালীপুজো ও দীপাবলি উৎসব আয়োজন করা হয় দেশের দক্ষিণ জনপদ জেলা বরিশাল শহরে। বরিশাল নগরের কাউনিয়া মহাশ্মশানে রবিবার অনুষ্ঠিত হবে দীপাবলি উৎসব। উপমহাদেশে একমাত্র বরিশাল মহাশ্মশানে ২০০ বছর ধরে এই দীপাবলি উৎসব উদযাপিত হয়ে আসছে। প্রতিবছর কালীপুজোর আগেরদিন ভূত চতুর্দশীর পুণ্য তিথীতে ভক্তরা তাঁদের প্রয়াত স্বজনদের সমাধিতে দ্বীপ জ্বালিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সুষ্ঠুভাবে এই দীপাবলি উৎসব উদযাপনে সব ধরণের প্রস্ততি সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন বরিশাল মহাশ্মশান রক্ষা কমিটির সভাপতি মানিক মুখার্জি। তিনি বলেন, রবিবার ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মাধ্যমে উদযাপিত হবে দীপাবলি উৎসব। অবশ্য করোনার কারণে গত দুইবছর দীপাবলি উৎসবে মহাশ্মশানে আলোকসজ্জা, তোরণ নির্মাণ এবং মেলার আয়োজন ছিল না। তবে এ বছর করোনার প্রাদুর্ভাব কম থাকায় নির্মিত হবে তোরণ এবং বসবে মেলা। প্রায় ৬ একরের মহাশ্মশান এলাকা আলোকমালায় সজ্জিত করা হবে। এদিন সন্ধ্যায় আলোয় আলোয় উদ্ভাসিত হয়ে উঠবে বরিশাল মহাশ্মশান। প্রতিবছর দীপাবলি উৎসবে লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হয় বরিশাল মহাশ্মশানে। বরিশাল মহাশ্মশানে আছে প্রকৃতির কবি জীবনানন্দ দাশের পিতা সত্যানন্দ দাশগুপ্ত, পিতামহ সর্বানন্দ দাশগুপ্ত, ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের নেতা বিপ্লবী দেবেন ঘোষ, মনোরমা বসুর মাসিমাসহ বহু খ্যাতিমান মানুষের সমাধি।

বরিশাল মহাশ্মশান রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক তমাল মালাকার বলেন, বরিশাল মহাশ্মশানে প্রায় ৬৫ হাজার সমাধি রয়েছে। এ বছর দীপাবলি উৎসব উদযাপিত হবে জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনের মধ্য দিয়ে।বরিশাল মহানগর পুজো উদযাপন পরিষদের সহ-সভাপতি গোপাল সাহা বলেন, উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ দীপাবলি উৎসব শুধুমাত্র বরিশাল মহাশ্মশানেই হয়ে থাকে। ভারত ও নেপালসহ বহু দেশ থেকে প্রচুর মানুষ এখানে আসেন প্রয়াত স্বজনদের স্মরণে। দীপাবলি উৎসবের নিরাপত্তার বিষয়ে বরিশাল মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) জাকির হোসেন মজুমদার বলেন, শ্মশান রক্ষা কমিটির সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। পুরো মহাশ্মশান এলাকা সিসি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।