হরি ঘোষ, দুর্গাপুর : মা কালী পূজিতা হন ভারত মাতার রূপে। দুর্গাপুরের প্রাণকেন্দ্র সিটি সেন্টারের নিকট অম্বুজা এলাকায় রয়েছে এই ঐতিহ্যবাহী মা কালীর মন্দির। ইতিহাসবিদদের মতে, পাল ও সেন যুগে এই মন্দিরের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ডাকাত সর্দার ভবানী পাঠক ও ডাকাত রানী দেবী চৌধুরানী। এই মন্দিরে পুজো দিয়ে নিজেদের কাজে বেরোতেন ভবানী পাঠক ও দেবী চৌধুরানী। ব্রিটিশ আমলে বহু স্বাধীনতা সংগ্রামী গভীর জঙ্গলে ঘেরা এই মন্দিরে আশ্রয় নিতেন। তাই এই মন্দিরে মা কালী ভারত মাতা রূপের পূজিতা হন। প্রাচীন মন্দিরটি বিশাল বট গাছের ঝুড়ির মধ্যে ঘেরা। সেই ভগ্নাংশ আজও বর্তমান। পরবর্তী ক্ষেত্রে জনৈক কলকাতার এক মহিলা স্বপ্নাদেশ পেয়ে বর্তমান মন্দিরটি তৈরি করেন। এই মন্দিরের বার্ষিক পুজো হয় ভূত চতুর্দশীর দিন। অতীতে মন্দিরের পাশেই থাকার ইছায় সরোবরের মাছ দিয়ে মায়ের ভোগ দেওয়া হত। বর্তমানে এই ইচ্ছায় সরোবর প্রায় জলাশূন্য ও আগাছায় ভর্তি। বর্তমানে মায়ের ভোগ হয় নিরামিষ।
সিটি সেন্টার ঢাকা এই মন্দিরের প্রধান আকর্ষণ হল পাথরের তৈরি সুরঙ্গ। দুর্গাপুরের অম্বুজায় আবাসন তৈরি করার সময় এই সুরঙ্গার ব্যাপক ক্ষতি হয়। বর্তমানে দুর্গাপুর পৌর নিগমের হেরিটেজ কনজারভেশন কমিটি অবশিষ্ট অংশে তৈরি করা হয়েছে পার্ক। এই সুরঙ্গটির তৈরির সময়কাল মুঘল শাসনের শেষ সময় উল্লেখ করা হয়েছে।। বর্তমানে মন্দিরটি দেবী চৌধুরানী ভবানী পাঠক ভারত মাতা আশ্রম কমিটির তত্ত্বাবধানে রয়েছে।