নিজস্ব সংবাদদাতাঃ প্রধানমন্ত্রী গদি যখন টালমাটাল, সেই সময়ই ইস্তফা দিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী। পদ খোয়ানোর জন্য কিছুটা দায়ী করেছিলেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীকে। সেই কারণেই প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী যখন প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হয়েছিলেন, তখন দলের সদস্যদের তাঁকে ভোট না দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। কথা হচ্ছে বরিস জনসন ও ঋষি সুনাকের সম্পর্কে। বরিস জনসন প্রধানমন্ত্রীর গদি হারানোর পর তিক্ততা তৈরি হয়েছিল ঋষি সুনাকের সঙ্গে। সেই কারণেই ঋষি সুনাকের বদলে মনে-প্রাণে সমর্থন জানিয়েছিলেন লিজ ট্রাসকে। সমর্থন পেয়ে প্রধানমন্ত্রীও হয়েছিলেন লিজ, কিন্তু তার পদের স্থায়িত্ব হল মাত্র ৪৫ দিন। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে লিজ ট্রাস ইস্তফা দিতেই নতুন করে শুরু হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর লড়াই। এই লড়াইয়ে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনাকের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনই। নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু হতেই, ঋষি সুনাককে প্রধানমন্ত্রীর গদির দৌড় থেকে সরে দাঁড়াতে বললেন বরিস জনসন। ফের যেন তাঁকেই প্রধানমন্ত্রী হতে দেওয়া হয়, এমনটাই আর্জি জানিয়েছেন বরিস।
সূত্রে খবর, প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে নাম উঠে আসতেই ঋষি সুনাককে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য চাপ দিচ্ছেন বরিস জনসন। সম্প্রতি দু'জনের মধ্যে বিরোধের যে চিত্র জনসমক্ষে উঠে এসেছিল, তা মিটমাট করে নেওয়ার সুযোগ দিচ্ছেন, এমনটাও দাবি করেছেন বরিস।