দিগ্বিজয় মাহালী: হাতির হানায় ব্যাপক ক্ষতি পশ্চিম মেদিনীপুরে। তার মধ্যে মেদিনীপুর বন বিভাগের বিভিন্ন রেঞ্জ এলাকায় গত এক মাসে ২০০০ কৃষকের ক্ষতি হয়েছে ৬০ লক্ষ টাকারও বেশি ফসল। যা নিয়ে উদ্বিগ্ন বনদপ্তর। গত সেপ্টেম্বর মাসে ১০০ টি হাতি বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে দাপিয়ে বেরিয়েছে মেদিনীপুর সদর, শালবনী, গোয়ালতোড়, লালগড়ের বিভিন্ন এলাকায়। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত চাঁদড়া, পিড়াকাটা, লালগড়, নয়াবসত রেঞ্জ। ঝাড়গ্রামের মানিকপাড়া থেকে হাতির পাল কংসাবতী নদী পেরিয়ে প্রবেশ করে চাঁদড়া বনাঞ্চলে। দশ দিনেরও বেশি তাণ্ডব চালানোর পর পিড়াকাটা, গোদাপিয়াশাল, আড়াবাড়ি, নয়াবসত এলাকায় চলে যায়। সেখান থেকে পুনরায় ফিরে আসে ভাদুতলা হয়ে পিড়াকাটার ভাঙ্গাবাঁধ এলাকায়। হাতির পালকে সরাতে নাজেহাল অবস্থা হয় বনদপ্তরের। ধানের জমির ব্যাপক ক্ষতি হয়। দফায় দফায় বনদপ্তরের অফিসগুলিতে বিক্ষোভে শামিল হন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা। চাঁদড়া ও পিড়াকাটা রেঞ্জের বীট অফিসে হাতির পালকে সরানো ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে একাধিকবার বিক্ষোভ দেখান ক্ষতিগ্রস্তরা। পাশাপাশি হাতির পালকে অন্যত্র সরাতে গিয়ে হেনস্থার শিকার হন হুলা টিমের সদস্য ও বনকর্মীরা। সবকিছু সামাল দিয়ে অবশেষে হাতির পালকে কংসাবতী নদী পার করে মানিকপাড়া পাঠাতে সক্ষম হয়। পুজো কাটতেই ক্ষতির পরিদর্শনে যান বিভিন্ন রেঞ্জ এলাকার বনকর্মীরা। বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত সেপ্টেম্বর মাসেই ৩৫০ হেক্টর কৃষি জমির ফসলের ক্ষতি হয়েছে হাতির হানায়। যার ক্ষতিপূরণের মূল্য ৬০ লক্ষ টাকারও বেশি। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা ফর্ম পূরণ করে জমা দিয়েছেন বনদপ্তরে। যদি আরও কিছুদিন হাতির পাল মেদিনীপুর বন বিভাগ এলাকায় থেকে যেত তাহলে ক্ষতির পরিমাণ কি হত তা নিয়ে শিউরে উঠছেন অনেকে। জানা গিয়েছে, মেদিনীপুর বনবিভাগের চাঁদড়া রেঞ্জেই ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১০০ হেক্টর জমির ফসল। এক বনকর্তা জানিয়েছেন, গত মাসে ৩৫০ হেক্টর কৃষি জমির ক্ষতি হয়েছে। পাশাপাশি হাতির হানায় ঘরবাড়ি ভাঙার ঘটনাও ঘটেছে। তবে বনকর্মীরা সর্বদা সতর্ক ছিলেন এবং তাদের আপ্রাণ চেষ্টার জন্য হাতির পালকে সরানো গিয়েছে।
হাতির হানায় ৬০ লক্ষ টাকার বেশি ফসলের ক্ষতি
New Update