হরি ঘোষ, দুর্গাপুর : আর মাত্র কয়েকদিন। পালিত হতে চলেছে আলোর উৎসব দীপাবলি। হাজার হাজার বছর ধরে আমাদের দেশে দীপাবলির উৎসব পালিত হয়ে আসছে।
শাস্ত্রমতে ভগবান শ্রী রাম , সীতা ও লক্ষণ ১৪ বছর বনবাসের পর অযোধ্যায় পৌঁছেছিলেন, তখন অযোধ্যাবাসীর খুশিতে মাটির তৈরি প্রদীপ জ্বালিয়ে পুরো অযোধ্যা আলোকিত করেছিল। সেই সময় মাটির প্রদীপের এক বিরাট মহৎ ছিল। কালী পুজো, দীপাবলি এই দিনটিতে প্রদীপের এক বিশাল ভূমিকা রয়েছে । আজকের আধুনিক যুগে প্রদীপ প্রায় লুপ্ত। আধুনিক যুগে মানুষ প্রদীপ না জ্বালিয়ে এলইডি লাইট জ্বালিয়ে আলোকিত করছে। যদিও কিছু সংখ্যক মানুষ প্রদীপ কিনে আলোকিত করে কিন্তু মানুষ বেশি এখন এলইডি লাইটের উপর নজর দিচ্ছে।
পরিবারের সুখ ও সমৃদ্ধির জন্য যেমন দেবী লক্ষ্মীর কাছে প্রার্থনা , আরাধনা করা হয়। ঠিক তেমনই দীপাবলির রাতেই মূলত মাটির প্রদীপ জ্বালানো হয় কিন্তু আজকের আধুনিক যুগে মাটির তৈরি জিনিসপত্র প্রায় লুপ্ত হয়ে গেছে। তবুও মৃৎশিল্পেরা দীর্ঘদিনের কাজ অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদী কুমোর সমপ্রদায়ের মানুষ। মাটির কারিগরদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আগের দিনে তাদের মাটি কিনতে হতো না। আজকের দিনে তাদের মাটি কিনতে হয় এবং সেই মাটি থেকে জিনিস বানাতে ১৫ থেকে ২০ দিন সময় লেগে যায় । এতো পরিশ্রম করার পরও সঠিক দাম পাচ্ছেন না।
মাটির পাত্র তৈরি কারিগর লক্ষন পণ্ডিত জানান, আগে মাটি কিনতে হতো না, এখন মাটি, কয়লা, ভুসি সব কিনতে হয়। পাশাপাশি তিনি বলেন, বর্তমানে মাটির প্রদীপ বিক্রির সংখ্যা অনেক কমে গেছে। তিনি জানান, গত ৩৫ বছর ধরে তিনি এই কাজ করছেন এমনকি এটাই তাদের বিত্তি। এখন তারা বার্ধক্য, অন্য কোনো কাজ করা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। এই কাজ করে কোনোভাবে তারা পরিবারের জন্য জীবিকা নির্বাহ করে। তিনি সরকারের কাছে জানান সমস্যা সমাধানের আবেদন জানান।
একই সময়ে, আদ্রা পণ্ডিত বলেন যে তিনি সরকারের কাছ থেকে কোনও সুবিধা পান না, যার জন্য তিনি দুঃখিত। তিনি বলেন, বর্তমানে মাটির প্রদীপের দাম অনেক কমে গেছে, এতে তাদের ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে।