কুস্তিগীরদের ২২ ফুটের ‘মোটা কালি'র পুজোর ৫৫ বছর

author-image
Harmeet
New Update
কুস্তিগীরদের ২২ ফুটের ‘মোটা কালি'র পুজোর ৫৫ বছর

দিগ্বিজয় মাহালী, পশ্চিম মেদিনীপুর : জঙ্গলমহল অধ্যুষিত পশ্চিম মেদিনীপুরের শহরে যে কালীপুজোগুলো হয় তার এক এবং অন্যতম হলো মানিকপুর ভ্রাতৃ সংঘের মোটা কালীর পুজো। এই মোটা কালির নামের অর্থ হিসেবে বলা যায় যে বিগত দিনে কথিত আছে এলাকার কুস্তিগীর বা ব্যায়াম করতো এবং কুস্তি করতো তারাই প্রথম এই কালি পূজার সূচনা করেন। তবে তারা তাদের মতনই কালীপুজো গড়ে তোলেন সেই সময়। প্রায় ৫৫ বছর আগে তারা মা কালীর ভঙ্গি এবং আদল চেঞ্জ করে ফেলেন। তারা প্রায় ২২ ফুটের মোটা কালী প্রতিমা গড়ে পুজো শুরু করেন। এই প্রতিমা বিসর্জনের ক্ষেত্রেও সমস্যা রয়েছে। তাই তারা গরুর গাড়ির উপরেই এই কালী প্রতিমা তৈরি করেন। প্রথমে খড় বাঁশ দিয়ে কাঠামো তৈরি করা হয় গরুর গাড়িতে। এর পর মাটি লেপে রং করা হয় এবং কালীপুজোর পর এই গরুর গাড়িতে করে একদম নদীর জল পর্যন্ত বিসর্জনের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় এই প্রতিমাকে। আর এই প্রতিমা নিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তার দুধারে ভিড় জমান মানুষজন।


আতশবাজি প্রদর্শন, বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা মধ্য দিয়ে এই প্রতিমা নিরঞ্জন হয়। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে লোপ পেয়েছে এই পুজোর আভিজাত্য এবং বয়সের ভারে নুইয়ে পড়েছে সেই কুস্তিবীররা। আজ আর কুস্তিবিদদের কেউ নেই কিন্তু নতুন প্রজন্ম সেই মোটা কালির তকমা দেওয়া কালীপুজো আজও করে চলেছেন। এই মোটা কালীর বর্তমান উচ্চতা বাইশ ফুট থেকে কুড়ি ফুটে কমিয়ে এনেছেন উদ্যোক্তারা কেবলমাত্র বিসর্জনের সুবিধার জন্য। একসময় পুজো হতো এই মানিকপুরের মাঠে কিন্তু কোর্ট কেস কাছারিতে জর্জরিত হওয়ার পর সেই মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন উদ্যোক্তরা। তারা এখন এই কালীপুজো করেন ওই চত্বরের একটি ফ্ল্যাটের পাশে। সেই মোটা কালীর প্রস্তুতি ইতিমধ্যে চলছে জোর কদমে। প্রায় একমাস ধরে গড়ে তোলা হচ্ছে এই কালী প্রতিমা তবে গরুর গাড়িতে।