আসামীদের নিয়ে ঘটনার পুননির্মাণ করল জামুড়িয়া থানার পুলিশ

author-image
Harmeet
New Update
আসামীদের নিয়ে ঘটনার পুননির্মাণ করল জামুড়িয়া থানার পুলিশ
নিজস্ব প্রতিনিধি, জামুড়িয়াঃ পুনরায় সাফল্য পেল পশ্চিম বর্ধমানের জামুড়িয়া থানার পুলিশ। ডাকাতির ঘটনায় দুজন আসামীকে নিয়ে ঘটনার পুননির্মাণ করলেন পুলিশ আধিকারিকরা। বিগত ৩০.০৫.২০২২ তারিখে জামুড়িয়ার দামোদরপুর এলাকার এক অনলাইন ব্যাংকে বন্দুক দেখিয়ে টাকা লুঠ করে দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনা ঘটেছিল।এর পরেই নড়েচড়ে বসে পশ্চিম বর্ধমানের জামুড়িয়া থানার পুলিশ। একাধিকবার ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন এলাকায় সন্দেহভাজন ইজরাইল আনসারী, এমডি মুন্না, মুকেশ রায়, কালু মিয়া এবং ভরত রায়ের খোঁজে পুলিশ হানা দিলেও দুষ্কৃতীদের ধরতে পারেনি।
  
পূর্ব বর্ধমানের বুদবুদ থানা এলাকায় ইজরাইল আনসারী এবং এমডি মুন্না ডাকাতি করার আগেই ধরা পড়ে যায়। আসানসোল কোর্ট তোলা হলে পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে এই দুই আসামি জামুড়িয়ায় ডাকাতির ঘটনায় জড়িত। বিগত ০৮.১০.২০২২ তারিখে আট দিনের পুলিশ কাস্টডিতে জামুড়িয়া থানায় নিয়ে আসে। পুলিশ সূত্রে খবর, জিজ্ঞাসাবাদে জামুড়িয়ার ডাকাতির ঘটনা স্বীকার করে তারা। আজ সেই ঘটনার পুননির্মাণ করে পুলিশ। কীভাবে তারা এসেছিল এবং কীভাবে তারা ডাকাতি করেছিল, এরপরে তারা কোথায় আশ্রয় নিয়েছিল, সেই জায়গাটি দেখিয়েছে সেই দুই আসামি।

প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় বাসিন্দা কার্তিক বাউরি জানান, ঘটনাটি ঘটেছিল তখন তিনি পুকুর ধারে বসে ছিলেন। সেই সময় তিনি ইজরাইল আনসারিকে সেখান থেকে দৌড়ে পালাতে দেখে ধাওয়া করতে গেলে তার ওপর বোমা ছোঁড়া হয়। অল্পের জন্য রক্ষা পান তিনি। যদিও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আরো যে তিন জনের নাম এসেছে। অর্থাৎ মুকেশ রায়, কালু মিয়া এবং ভরত রায়। তাদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে জামুড়িয়া থানার পুলিশ।