নিজস্ব সংবাদদাতা :পঞ্জাবের মুক্তসার সাহিব জেলার বাদল গ্রামের রক্ষণশীল পরিবারের মেয়ে কমলপ্রীত। যেখানে মেয়েদের খেলাধূলার ইচ্ছেকে গুরুত্ব দেওয়া হয় না। স্কুলে পড়ার সময় ফিজিক্যাল এডুকেশন টিচারই তাঁকে ডিসকাসে অনুপ্রাণিত করেন। ২০১৪ সালে সাইয়ে ট্রায়ালে সুযোগ। ২০১৬ ও ২০১৭ সালে বয়সভিত্তিক জাতীয় চ্যাম্পিয়ন। ২০১৯-এ ফেডারেশন কাপে সোনা।ফেডারেশন কাপে ৬৫ মিটার ছুড়ে ইতিহাস গড়েন। পরে নিজেই নিজের রেকর্ড ভেঙে ৬৬.৫৯ মিটার ছোড়েন। সমস্ত প্রতিকূলতা টপকেই নিজের লক্ষ্যে সচেষ্ট থাকেন কমলপ্রীত। আর তাতেই মেলে টোকিও অলিম্পিকের টিকিট। ফাইনালে উঠেও কমলপ্রীতের নজরে পদক। তিনি বলেন, ‘এমন এক গ্রাম থেকে আমি উঠে এসেছি, যেখানে রক্ষণশীল মানসিকতার মানুষের বাস। খেলাধূলার চেয়ে মেয়েদেরকে পড়াশোনাতেই মন বসাতে বাধ্য করা হয়। যদি পড়াশোনা ঠিকঠাক করতে না পারে, তাহলে বাড়ি থেকে জোর করে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়। তাই আমার এই পদকের উপর আমার গ্রামের অনেক মেয়ের ভবিষ্যত্ নির্ভর করছে। একটা ভুল মানেই ১০০ মেয়ের ভবিষ্যত্ অন্ধকারে।’ স্বাধীন ভারতে ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে দেশকে প্রথম পদকের স্বপ্ন দেখাচ্ছেন কমলপ্রীত কৌর। শুধু নিজের গ্রামের জন্য নয়, ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে পদক জিতে দেশের কমল হয়ে ফুটতে চান কমলপ্রীত কৌর।