নিজস্ব সংবাদদাতা, কাঁথিঃ পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলের রাজ্য সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথির বাড়িতে লক্ষ্মীপুজোর দিন এলেন সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। সুকান্তের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথাও হয় শান্তিকুঞ্জের কর্তা শিশির অধিকারীর। যদিও সেই কথায় কোনও রাজনীতি ছিল না বলেই দাবি করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তবে এই সাক্ষাৎ নিয়েও কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল। কাঁথির শান্তিকুঞ্জে লক্ষ্মীপুজো হয় ধুমধাম করেই। অধিকারী পরিবারের তরফে বালুরঘাটের সাংসদকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। সন্ধ্যায় কাঁথি পৌঁছান বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তাঁর গাড়ি পৌঁছাতেই বাড়ির সদর দরজায় ফুলের তোড়া হাতে বেরিয়ে আসেন শুভেন্দু অধিকারী। সুকান্তকে জড়িয়েও ধরেন শুভেন্দু। পিছনেই ছিলেন শুভেন্দুর ছোট ভাই তথা কাঁথি পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান সৌমেন্দু অধিকারী। শুক্রবার সৌমেন্দুকে কাঁথি থানার পুলিশ টানা দশ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে জেরা করেছিল। এদিন সুকান্ত বলেন, ‘‘আমি এখানে বিজয়ার প্রণাম করতে এসেছিলাম। দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন হলে আমরা বয়োজ্যেষ্ঠদের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করি। এটাই আমাদের রীতি। পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে প্রবীণ ও অভিজ্ঞ যে ক’জন রাজনীতিক বেঁচে আছেন, তাঁদের মধ্যে একজন শিশিরবাবু। তাই তাঁর মতো মানুষকে সম্মান জানাতে এসেছিলাম।’’
প্রসঙ্গত, শিশির এখনও তৃণমূলের প্রতীকে নির্বাচিত সাংসদ। কিন্তু ২০২০ সালের ১৯ ডিসেম্বর শুভেন্দু বিজেপিতে যোগ দিলে দলের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ প্রায় ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে এগরায় বিজেপির জনসভায় অমিত শাহের সঙ্গে এক মঞ্চে হাজির থাকার কারণে শিশিরের বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইনে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার কাছে তাঁর সাংসদ পদ খারিজের আবেদন জানিয়েছে তৃণমূল।