বিঘার পর বিঘা জমির ফসলের ক্ষতি, ক্ষোভে ফুঁসছে শালবনী ব্লকের কলসিভাঙ্গা এলাকা

author-image
Harmeet
New Update
বিঘার পর বিঘা জমির ফসলের ক্ষতি, ক্ষোভে  ফুঁসছে শালবনী ব্লকের কলসিভাঙ্গা এলাকা
নিজস্ব প্রতিনিধি, মেদিনীপুরঃ হাতির পালের তাণ্ডবে অতিষ্ঠ কৃষকরা। চোখের সামনে বিঘার পর বিঘা জমির ফসলের ক্ষতি দেখে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন বন দফতরে। ৫০ টি হাতির একটি পাল প্রবেশ করে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনী ব্লকের কলসিভাঙ্গা এলাকায়। বিকেল হলেই জঙ্গল লাগোয়া ধান জমিতে নেমে পড়ে। খেয়ে, পায়ে মাড়িয়ে নষ্ট করে ফেলছে বিঘার পর বিঘা জমির ধান। হাতির পালকে দ্রুত সরানোর দাবি তুলছেন কৃষকরা। কৃষকদের অভিযোগ, এর আগের ক্ষতিপূরণ মেলেনি এখনও। নতুন করে এবারে ক্ষতি হওয়ায় ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।


জানা গিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় জমিতে হাতির পাল নামলে বন দফতর ও হুলা টিমের লোকজন হাতির পালকে আড়াবাড়ি দিয়ে রূপনারায়ণ বন বিভাগে পাঠানোর চেষ্টা করে। হাতির পাল কলসিভাঙ্গার ভাঙ্গাবাঁধ থেকে সাতপাটি পৌঁছাতেই হুলা টিম এবং বন দফতরের লোকজনদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। পরিস্থিতি সামাল দিতে পৌঁছাতে হয় পিড়াকাটা ফাঁড়ির পুলিশকে। পরে হাতির পাল পুনরায় কলসিভাঙ্গার জঙ্গলে প্রবেশ করে। 

শনিবার নতুন করে ফের হাতির হানার আশঙ্কায় স্থানীয়রা। শনিবার পাশাপাশি বিভিন্ন গ্রামের মানুষজন পিড়াকাটা রেঞ্জ অফিসে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান। তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানও। স্থানীয়রা জানান, বন দফতরের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে হাতিকে অন্যত্র সরানোর। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, হাতির ওই পালটি রূপনারায়ণ বন বিভাগ থেকে আড়াবাড়ি, গোদাপিয়াশাল হয়ে পিড়াকাটায় প্রবেশ করে। বন দফতর পুনরায় ওই পথে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু হাতির পাল ওই পথে যেতে চাইছে না। জোর করে পাঠানোই জমির ফসলের ক্ষতি বাড়ছে। বন দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, স্থানীয়রা ক্ষোভ দেখিয়েছেন ক্ষতিপূরণের দাবিতে। সরকারি নিয়ম অনুসারে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।