নিজস্ব সংবাদদাতাঃ ১. মাছ মাংস- আমাদের পাকস্থলীতে থাকা অ্যাসিড এবং কিছু উপকারী ব্যাকটেরিয়া মাছ এবং মাংসের প্রোটিন অ্যামাইনো অ্যাসিডে ভেঙে ফেলে। এক্ষেত্রে বাইপ্রডাক্ট হিসেবে উৎপন্ন হয় অ্য়ামোনিয়া। অ্যামোনিয়া একটি দুর্গন্ধযুক্ত গ্যাস। ক্রমে অ্যামোনিয়া রক্তে মিশে যায় এবং ক্রমেই তা ফুসফুসেও ছড়িয়ে পড়ে। এর ফলে মুখ থেকে দুর্গন্ধ বের হয়। কাজেই মাছ মাংস খেলে অতিরিক্ত সতর্ক থাকতে হবে। ২. রসুন- রসুনে রয়েছে সালফার কম্পাউন্ড এই কারণে তা কটু গন্ধ যুক্ত। রসুন খেলে দীর্ঘক্ষন মুখে গন্ধ থাকবে এমনটাই স্বাভাবিক। রসুনে অ্যালাইল মিথাইলসালফেট বলে এটি কমপাউন্ড থাকে যা হজম হয়না। এর তীব্র দুর্গন্ধ অস্বস্তিতে ফেলতে পারে আপনাকে। ৩. পেঁয়াজ- পেঁয়াজ রসুন একই প্রজাতির অন্তর্গত। ঠিক রসুনের মতো এখানে সালফিউরিক কম্পাউন্ড থাকে। সেই কারণেই কাঁচা পেঁয়াজ খেলে মুখে গন্ধ হয় । ভালো করে পেঁয়াজ সাতলালে তার কটু গন্ধটা উবে যায়। ৪. দুগ্ধজাত পণ্য- দুধ-পনির অনেক সময় মুখে গন্ধের কারণ হয়। তার মূল কারণ এই খাবারে যে অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে তা আমাদের মুখগহ্বরে উপস্থিত ব্যাকটেরিয়া দ্বারা জারিত হয়। এবং সালফার কমপাউন্ড তৈরি করে যা অতি দুর্গন্ধযুক্ত। ৫. কফি- অনেকেই আছেন যারা সারাদিন বেশ কয়েক কাপ কফি খান। কফি বিন দুর্গন্ধের প্রধান কারণ। সালফার কমপাউন্ড থাকে। ক্যাফেইন যা মুখে শুষ্ক হয়ে ব্যাকটেরিয়া বাড়তে সাহায্য করে। আর এই কারণেই মুখে দুর্গন্ধ হয়।