/anm-bengali/media/post_banners/K5cm6yk7gHxA6VRf5tL6.jpg)
দিগ্বিজয় মাহালী: প্রবল বৃষ্টিতে বাড়ল নদীর জল। যার ফলে চন্দ্রকোনায় অস্থায়ী বাঁশের সাঁকো জলের তলায় তলিয়ে যায়। তার ওপর দিয়েই ঝুকি নিয়ে চলছে নদী পারাপার।অপরদিকে ঘাটালের মনসুকায় বাঁশের সাঁকো ভেঙে গিয়েছে। সেখানে চলছে নৌকায় পারাপার। পুজোর সময় নদী পারাপারের ক্ষেত্রে চরম দুর্ভোগে পড়েছে চন্দ্রকোনা ও ঘাটালের মনসুকা এলাকার একাধিক গ্রামের মানুষ। মঙ্গলবার সাতসকালে ঘাটালের মনসুকার ঝুমী নদীর বেরারঘাটের বাঁশের সাঁকো ভেঙে যায়। অপরদিকে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা দু'নম্বর ব্লকের ভগবন্তপুর এক ও দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রায় ১০ থেকে ১৫ টি গ্রামের মানুষ নদী পারাপারের ক্ষেত্রে চরম সমস্যায় পড়ে। কারণ কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে পুজার মুখে শিলাবতী নদীর জল বৃদ্ধি পেয়েছে। উল্লেখ্য, গত বছর বন্যার সময় ভেঙে গিয়েছিল গ্রাম পঞ্চায়েতের তৈরি চন্দ্রকোনা দুই নং ব্লকের ভগবন্তপুর এক ও ভগবন্তপুর দুই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার শিলাবতী নদীর ওপর যোগাযোগের জন্য বানানো একাধিক কাঠের সেতু। যার ফলে গ্রামবাসীদের উদ্যোগে বানানো অস্থায়ী বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলছিল যাতায়াত। একদিনের টানা বর্ষণের ফলে শিলাবতী নদীতে জল বাড়ায় জলের তলায় ডুবে গিয়েছে সেই সাঁকো। ফলে ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় বা ডুবে যাওয়া সাঁকোর ওপর দিয়েই চলছে নদী পারাপার। এমনই ছবি দেখা গেলো চন্দ্রকোনার ভগবন্তপুর এক নং গ্রাম পঞ্চায়েতের চাষীবাড় এলাকায়ও। ঘাটালের মনসুকার বেরারঘাটে ঝুমি নদীর ওপর বাঁশের সাঁকো হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে মঙ্গলবার সকালে। ফলে যাতায়াতের সমস্যায় পড়েছে মনসুকার ১০ থেকে ১৫ টি গ্রামের মানুষজন। এই সমস্ত এলাকার বাসিন্দারা পুজোর সময় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। সকলকে এক গ্রাম থেকে আরেক গ্রামে গিয়ে পুজো দেখতে হলে হয় ঝুঁকি নিয়ে নৌকাতে পারাপার করতে হচ্ছে। তা না হলে পুজোয় এক গ্রামের সাথে আরেক গ্রামের যোগাযোগ কার্যত অসম্ভব বলেই মত এলাকার বাসিন্দাদের।