নিজস্ব সংবাদদাতাঃ পড়াশোনা চালু রাখতে গেলে কলেজের ফি দিতে হবে। সেই টাকা জোগাড়ের জন্য ১৪ বছরের কিশোরকে অপহরণ করল বি-কম পড়ুয়া। পুলিশ ইতিমধ্যেই ওই কলেজ ছাত্রকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার হওয়া ছাত্রের নাম এম সুনীল কুমার (২৩)। তিনি একটি সান্ধ্য কলেজে বি-কম নিয়ে পড়ছেন। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বেঙ্গালুরুর চিক্কাবাল্লাপুর শহরে। সুনীল সহকারী ওয়াইভি নাগেশও পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, বেঙ্গালুরুর মান্যতা লেআউটের বাসিন্দা পেশায় কর্পোরেট সংস্থার ম্যানেজার রমেশবাবুর ছেলে ভবেশকে অপহরণ করে সুনীল কুমার। গত ২ সেপ্টেম্বর বাড়ি থেকেই অপহৃত হয় ভবেশ। সে যে সেলার রুমে ঘুমোতে যেত, সেই খবর সুনীল কুমারের কাছে ছিল। তাই ঘুমন্ত অবস্থাতেই ভবেশকে অপহরণ করা হয়। মাস্ক পরে প্রথমে ভবেশের দরজায় কড়া নাড়ে সুনীল কুমার। দরজা খুলতেই ছুরি নিয়ে অপহরণকারী ভবেশকে হুমকি দেয়। তারপর তাকে বাড়ি থেকে বের করে আনে। পরের দিন রমেশবাবুকে ফোন করে ছেলের মুক্তিপণ হিসেবে ১৫ লক্ষ টাকা দাবি করে। সেই মুক্তিপণ মিটিয়ে ছেলেকে উদ্ধার করে আনেন রমেশবাবু। তারপর পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। ফোনের লোকেশন ও সিসিটিভি ফুটেজ দেখে সুনীল কুমার ও তার সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
জেরায় সুনীল কুমার জানিয়েছে, নির্মাণ শ্রমিক, মালির কাজ করেও কলেজের ফি মেটানো সম্ভব হচ্ছিল না। বন্ধুরাও কোনওরকম আর্থিক সাহায্য করতে নারাজ। তাই বাধ্য হয়েই পড়াশোনা চালিয়ে যেতে অপহরণের ছক কষতে হল। বেশ কিছুদিন আগে রমেশবাবুর বাংলোর বাগানে মালির কাজ করেছিল সুনীল কুমার। সেই সময় ভবেশের সঙ্গে তার ভাব হয়। সুনীল কুমার ঠিক করে, ভবেশকে অপহরণ করলে তার টাকার সমস্যা মিটে যাবে। পড়াশোনাও চলবে তরতরিয়ে। সেইমতো ক্যাব চালক নাগেশকে প্রস্তাব দেয়। নাগেশও রাজি হয়ে যায়। মুক্তিপণ পেয়ে প্রথমেই কলেজের ফি মেটায় সুনীল কুমার। ইয়েলাহানকাতে ঘর ভাড়ার জন্য অ্যাডভান্স পেমেন্ট করেছে বাইক কিনেছে, ডিজিটাল ক্যামেরা কিনেছে। বাকি টাকা রেখে দিয়েছে।