নিজস্ব সংবাদদাতাঃ ১ লক্ষ টাকা ধার নিয়েছিল মেয়ে। দীর্ঘদিন গেলেও সেই টাকা ফেরত পাননি মা। নাতির কাছে টাকা চাইতে গেলেই ঘটে বিপত্তি। রাগের বশে দিদিমাকে হাতুড়ির ঘা মারে নাতি। রক্তাক্ত অবস্থায় দিদিমা পড়ে যান। নাতি সেসব না দেখে ঘরের দরজা বন্ধ করে টিভি দেখতে সুরু করে। অত্যাধিক রক্তক্ষরণে দিদিমার মৃত্যু হয়। ভয়াবহ ঘটনাটি ঘটেছে চেন্নাইয়ের কোরুকুপেট এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে মৃতার নাম বিশালাক্ষী (৭০)। অভিযুক্ত সতীশ(২৮)। বিশালাক্ষী সতীশের দিদা। বছর ৭০-দিদিমা সেদিন দুপুরে খাবার জন্য নাতির প্রিয় মাছের ঝোল ও ভাত রান্না করেছিলেন। খাওয়াদাওয়ার পর দিদিমা টাকার প্রসঙ্গে তুলতেই সতীশ বেজায় রেগে যায়। প্রথমেই ব্লেড দিয়ে দিদার গলা কেটে দেওয়ার পর মাথায় হাতুড়ি মারে।
প্রতিবেশীরা আর্তানাদ শুনে বিশালাক্ষীর বাড়িতে ছুটে যান। যদিও সতীশ তাঁদের বলে, আওয়াজ আসছে টিভি থেকে। মেঝেতে আহত দিদিমা রক্তে ভেসে যাচ্ছেন, আর সতীশ মনের সুখে টিভি দেখে চলেছে। পরে অভিযুক্ত মাকে ফোন করে জানায়, দিদা পড়ে গিয়ে আঘাত পেয়েছে। তড়িঘড়ি বৃদ্ধা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, আগেই বিশালাক্ষী দেবীর মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ দেখে মদ্যপ অবস্থায় টিভি দেখছে সতীশ। ঘটনাস্থল থেকে হাতুড়ি ও ব্লেড উদ্ধার করে পুলিশ। সঙ্গে সঙ্গেই সতীশকে গ্রেপ্তার করে ভারতীয় দণ্ডবিধির সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ। জানা গেছে, বাড়ি মেরামতির জন্য বহুজনের কাছ থেকে ধার নিয়েছিলেন সতীশের মা। দিদিমার থেকেও টাকা নেন তিনি। টাকা শোধ করতে না পারায় বাড়ি বিক্রি করে ধার মেটাতে শুরু করেন সতীশের মা। মায়ের থেকে নেওয়া ২ লাখের ১ লাখ শোধ করতে পারলেও আরও ১ লাখ পরে শোধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি। এদিকে টাকা দিতে দেরি হওয়ায় প্রায়ই নাতি ও মেয়েকে ডেকে গঞ্জনা দিতেন বিশালাক্ষী।