দিগ্বিজয় মাহালী, পশ্চিম মেদিনীপুর : রাজ্য জুড়ে ভয়াবহ হারে বেড়ে চলেছে ডেঙ্গু। প্রকোপ বাড়ছে জেলাতেও। চলতি মরশুমে আক্রান্ত প্রায় ১৩০ জন। তবে, সোসাইটি-কে বাঁচাতে সেই ডেঙ্গুর ভয় না করেই একেবারে নর্দমায় নেমে পড়লেন স্থানীয় যুবক তথা খড়্গপুর দক্ষিণ মণ্ডলের বিজেপি'র সাধারণ সম্পাদক সৌরভ নাথ। তাঁর দাবি, "১৮৯ একর জায়গার উপর তৈরি হয়েছে অভিজাত হিজলি ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি। কিন্তু, গোটা সোসাইটি চত্বর জুড়ে কোথাও নিকাশির ব্যবস্থা নেই। এমনিতেই যা অবস্থা, এই অভিজাত এলাকার বাসিন্দারা ডেঙ্গুর ভয় পাচ্ছেন! ঘটনার প্রতিবাদ করতে গিয়ে আমার যদি ডেঙ্গু হয় তো হোক!"
প্রসঙ্গত, রবিবার খড়্গপুর পৌরসভার ৩৪ নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত হিজলি ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি'র ৭৫ বর্ষ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত হয়েছিল বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান। উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী মানস রঞ্জন ভুঁইয়া, এমকেডিএ চেয়ারম্যান দীনেন রায় সহ অন্যান্যরা। ছিলেন, এলাকার ১২ বছরের কাউন্সিলর তথা হিজলি ডেভেলপমেন্ট সোসাইটিরও গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা তৃণমূল নেতা অপূর্ব ঘোষ-ও। তবে, অরাজনৈতিক সোসাইটির অনুষ্ঠানে ডাক পাননি বাম কিংবা বিজেপি মনোভাবাপন্ন কেউ! আর, এই দিনটিকেই প্রতিবাদের জন্য বেছে নিয়েছিলেন এলাকার প্রতিবাদী মুখ সৌরভ। তাঁর সীমিত ক্ষমতায়, একক উদ্যোগে এর আগেও তিনি হিজলি-প্রেমবাজার এলাকা জঞ্জালের স্তূপ হয়ে ওঠায় পথে নেমেছিলেন। কাউন্সিলরের রোষের মুখেও পড়তে হয়েছিল। পরে অবশ্য স্বয়ং পৌরসভার চেয়ারম্যান প্রদীপ সরকার গিয়ে এলাকার সাফাই নিয়ে উদ্যোগী হয়েছিলেন। রবিবার-ও সোসাইটি এলাকাতে কোনো নিকাশি ব্যবস্থা না থাকায়, একটি খোলা নর্দমাতে নেমে প্রতিবাদ জানালেন সৌরভ। হাতে ধরা প্ল্যাকার্ডে লেখা- 'ড্রেন কবে হবে?" আর, সৌরভ-কে সমর্থন জানাতে হাজির হয়েছিলেন সোসাইটির অনেক বাসিন্দা। তাঁরাও বললেন, "অভিজাত সোসাইটির-ই যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে ভাবুন বাকি জায়গায় কি চলছে!" আর, সৌরভ বললেন, "পাশেই অনুষ্ঠান চলছে, কাউন্সিলর এসে খাওয়াদাওয়া করে চলে যাবেন! ১২ বছর ধরে কাউন্সিলর আছেন উনি, এলাকার অবস্থা যা করে রেখেছেন তা বলার নয়।"