নিজস্ব সংবাদদাতা : দুর্গাপুজো বললেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে দুটো ছবি, থিম পুজো ও সাবেকি পুজো। শহরের অভিনব থিম পুজোগুলির মধ্যে হরিদেবপুর আদর্শ সমিতির পুজো অন্যতম। এবছর এই দুর্গোৎসব কমিটির পুজোর ৫৪তম বছর। কাজ প্রায় শেষের পথে। বলা যায় যে মণ্ডপ সজ্জার ৮০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে। এদিকে যখন তখন বৃষ্টির আগমন। ফলে বিপাকে পড়তে হচ্ছে মণ্ডপ শিল্পী থেকে পুজো উদ্যোক্তাদের। তার ওপর মণ্ডপ খোলা হওয়ায় পুজোয় বৃষ্টি হলে পড়তে হবে সমস্যায়।
পুজো কমিটির এক সদস্য তারক বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এবছর পুজোয় মহেঞ্জোদারোর ধ্বংসাবশেষ ফুটিয়ে তুলছেন তারা। প্রত্নতত্ত্ববিদ রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় ১৯২২ সালে যেভাবে সিন্ধু নদের তীরে সভ্যতার ধ্বংসাবশেষের চিত্র বর্নিত করেছিলেন ঠিক সেই আদলেই সেজে উঠছে মণ্ডপ চত্বরও। সবুজের মাঝে চলছে বালির খেলা। এক কথায় বলা যায় যে ইতিহাসের পাতা থেকে বেরিয়ে চাক্ষুস উপভোগ করা যাবে সিন্ধু সভ্যতার রূপ। হরিদেবপুর আদর্শ সমিতির পুজো মণ্ডপে প্রবেশ করলে দেখা যাবে সিন্ধু নদে নৌকোর উপস্থিতি। ১৫ ফুট সিঁড়ি দিয়ে ওপরে উঠে গেলে চোখে পড়বে এক জলাশয়। সেখানে রয়েছেন বনদেবী। চারিপাশে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে সাধু-সন্ন্যাসী সহ পশু পাখির শারীরিক গঠন। আবার নামার সময় ৫০ ফুট দূর থেকে চোঙার ভেতর দিয়ে দেখা যাবে সাবেকি একচালার প্রতিমা।