শালবনীতে পৌঁছালো নেভির ফুটবল দল, রয়েছেন জঙ্গলমহলের পিন্টু মাহাত

author-image
Harmeet
New Update
শালবনীতে পৌঁছালো নেভির ফুটবল দল, রয়েছেন জঙ্গলমহলের পিন্টু মাহাত

নিজস্ব সংবাদদাতা, শালবনীঃ  করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সেপ্টেম্বরে কলকাতায় ডুরান্ড কাপ হওয়ার কথা। তার আগে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনীতে মঙ্গলবার দুপুরে পৌঁছে গেল 22 জনের নেভির ফুটবল দল। মুম্বাই থেকে কলকাতা হয়ে জেলায় পৌঁছেছে। করোনা পরিস্থিতিতে কলকাতার আশেপাশে মাঠ না পাওয়ায় অনুশীলনের জন্য পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় বিভিন্ন মাঠের খোঁজ করেছিল তারা। সেই মত জেলার শালবনী নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু স্টেডিয়াম ও খড়্গপুর সেরসা স্টেডিয়াম পরিদর্শন করেন দলের কর্তারা। দুটি স্টেডিয়ামই তাদের নজরে ছিল। এদিন জেলায় পৌঁছে তারা শালবনীতে যান। সেখানে মাঠ পরিদর্শন করেন। জানা গিয়েছে, শালবনী স্টেডিয়ামের মাঠ নেভির দলের পছন্দ হয়নি। সেখান থেকে দলের কর্তারা যান খড়্গপুর সেরসা স্টেডিয়ামে। শালবনীর থেকে সেরসা স্টেডিয়ামের মাঠ কিছুটা উন্নত। আপাতত খড়্গপুরের সেরসা স্টেডিয়ামে অনুশীলন করবে বলে জানা গিয়েছে। বুধবার দুপুরের পর শালবনী থেকে খড়্গপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দিবে। শালবনীতে এসে পৌঁছালেও অনুশীলন না হয় আফসোস করছেন এলাকাবাসী। শালবনী ব্লক স্পোর্টস এসোসিয়েশনের সম্পাদক সন্দীপ সিংহ বলেন, নেভির দল এখানে অনুশীলন করলে স্থানীয় ছেলেমেয়েদের অনেক কিছু শেখার সুযোগ মিলত। তা না হওয়ায় কিছুটা আফসোস হচ্ছে। তবে আগামী দিনে স্টেডিয়ামের খেলার মাঠ আরও উন্নত করার জন্য নির্দিষ্ট দফতরে জানাবেন তিনি।



নেভির এই দলে রয়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের গুড়গুড়িপাল থানার জঙ্গল ঘেরা ঢড়রাশোল গ্রামের পিন্টু মাহাত। মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল সহ বিভিন্ন ক্লাবে খেলার পর নেভিতে চাকরি পেয়েছেন। সেই সূত্রে তিনি এখন নেভি দলের খেলোয়াড়। আবার কলকাতায় ডুরান্ড কাপ খেলার অনুশীলন হচ্ছে নিজের জেলায়। এদিন পিন্টু জেলায় পা রাখতেই তার গ্রামের ক্লাবের সদস্য ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা শালবনী পৌঁছে যায়। ফুল দিয়ে সংবর্ধনা জানাই দলের সদস্যদের। ঢড়রাশোলের আবীর মাহাত, উত্তম মাহাতরা জানান, পিন্টুর সঙ্গে দেখা করে ডুরান্ড কাপে পিন্টু সহ দলের সাফল্য কামনা করেছি। ডুরান্ড কাপে ঘরের ছেলের খেলা দেখতে মুখিয়ে রয়েছে এলাকাবাসী।