নিজস্ব প্রতিনিধি,অন্ডালঃ কাজোড়া গ্রামে অবস্থিত প্রগতিশীল ভবনে, দ্বিতীয়বার ব্লক সভাপতি নির্বাচিত কলোবরণ মণ্ডলের সম্মান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। এছাড়াও এখানে নবনিযুক্ত অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। নবনিযুক্ত ব্লক সহ-সভাপতি তথা গ্রামের বাসিন্দা মলয় চক্রবর্তীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। অনুষ্ঠানের মাঝখানে মলয় চক্রবর্তীর সমর্থকরা হট্টগোল শুরু করে বলে অভিযোগ। বিবাদ বাড়তে থাকলে শুরু হয় হাতাহাতি, গালিগালাজ-সহ সমাবেশে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতির উন্নতির পরিবর্তে অবনতি হতে থাকে। উভয় পক্ষের প্রচুর লোক ঘটনাস্থলে জড়ো হলে লোকজন একে অপরের মুখোমুখি হয়। এই ঘটনায় দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর হয়। সংঘর্ষে দুই পক্ষের বেশ কয়েকজন আহতও হয়েছে বলে জানা গিয়েছিল।
শুক্রবার রাতের এই ঘটনার জেরে শনিবার সন্ধ্যায় কাজোড়া তৃণমূল কার্যালয়ে পৌঁছালেন রানীগঞ্জের বিধায়ক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়। এখানে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা পরোক্ষভাবে স্বীকার করেন তিনি। বিধায়ক বলেন যে গতকালের ঘটনা একেবারেই অনঅভিপ্রেত। তিনি বলেন, গতকাল যা হয়েছে সেটা একেবারেই কাম্য নয়। কিছু অতি উৎসাহী ছেলেদের জন্যই এই ঘটনা ঘটেছে। তবে তিনি এ-ও বলেন, ২০২১-এর নির্বাচনে ছোট -বড় সকলে মিলেই ভোটের ময়দানে কাঁধে কাঁধে মিলিয়ে লড়েছে। তিনি বলেন, এই অতি উৎসাহি ছেলেদের জন্য দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। সেটা কখনোই কাম্য নয়। তিনি স্বীকার করেন কিছু ভুল বোঝাবুঝি রয়েছে, যেটা সবাই একসঙ্গে বসে আলোচনার মাধ্যমে মিটিয়ে নিতে হবে । বিধায়ক এও বলেন, "যদি কেউ মনে করেন দল আমার একার তাহলে সেটা ভুল। দল জনসাধারণের। কারণ এটা মানুষের সরকার।" বিধায়ক বলেন, কী কারণে এই ঘটনা ঘটেছে, এর পিছনে কে কে আছে এলাকার নেতৃত্বের সঙ্গে বসে এ বিষয়ে আলোচনা করা হবে।