তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব অন্ডালের কাজড়ায়,ভাঙচুর

author-image
Harmeet
New Update
তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব অন্ডালের কাজড়ায়,ভাঙচুর

 নিজস্ব সংবাদদাতা: সম্প্রতি জেলায় ব্লক স্তর থেকে পদাধিকারীদের নাম ঘোষণা করেছে তৃণমূল। এই ঘোষণার পর তৃণমূলের দলাদলির অবসান ঘটানোর কথা বললেও, শুক্রবার সন্ধ্যায় অন্ডাল ব্লকের কাজোড়া গ্রামে প্রকাশ্য দলাদলির নজির দেখা গেল। তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে দফায় দফায় তুমুল মারামারি, লাঠি-লাঠি ব্যবহার, নাশকতার ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। কিন্তু ব্যাপারটা ঠাণ্ডা না হয়ে বাড়তে থাকে।

আসলে, কাজোড়া গ্রামে অবস্থিত প্রগতিশীল ভবনে, দ্বিতীয়বার ব্লক সভাপতি নির্বাচিত কলোবরণ মণ্ডলের সম্মান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। এছাড়াও এখানে নবনিযুক্ত অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। নবনিযুক্ত ব্লক সহ-সভাপতি তথা গ্রামের বাসিন্দা মলয় চক্রবর্তীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। অনুষ্ঠানের মাঝখানে মলয় চক্রবর্তীর সমর্থকরা হট্টগোল শুরু করে বলে অভিযোগ। বিবাদ বাড়তে থাকলে শুরু হয় হাতাহাতি। গালাগালি ও গালিগালাজ সহ সমাবেশে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয় । পরিস্থিতির উন্নতির পরিবর্তে অবনতি হতে থাকে। উভয় পক্ষের প্রচুর লোক ঘটনাস্থলে জড়ো হলে লোকজন একে অপরের মুখোমুখি হয়।

 


এই ঘটনায় দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর হয়। পরিস্থিতি সমাধানের পরিবর্তে আরও খারাপ হয়েছে। ব্লকের সহ সভাপতি মলয় চক্রবর্তী সরাসরি ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে আঙ্গুল তুলেছেন। মলয় বাবু বলেন, ব্লক সভাপতি কাল বরণ মন্ডল,যুব নেতা পার্থ দেওয়াসী ও অসিত মন্ডলের নেতৃত্বে তার দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর চালান। মলয় বাবু জানান কাজোরা এলাকায় আজ নবনিযুক্ত ব্লক সভাপতি কালাবরণ মন্ডলের একটা সংবর্ধনা সভা ছিল । অথচ কাজোড়া এলাকায় অনুষ্ঠান হওয়া সত্ত্বেও ব্লক সভাপতি তরফে তাকে কোনো রকম ভাবে জানানো হয়নি বলে অভিযোগ করেন মলয়বাবু ।

ব্লক সভাপতি পক্ষের সমর্থকরা কাজোড়া হাইস্কুলের বিপরীতে অবস্থিত টিএমসি পার্টি অফিসে ভাঙচুর চালায়। দলীয় কার্যালয়ের প্রতিটি জিনিসপত্র ভাঙচুর করা হয়। ভাঙচুর করা হয় পার্টি অফিসের ভেতর এলইডি টিভি,চেয়ার, টেবিল সমস্ত আসবাবপত্র বলে অভিযোগ । ঘটনার খবর চাউর হতেই ব্লকের সহ-সভাপতি মলয় চক্রবর্তীর লোকজন ঘটনাস্থলে আসতেই ব্লক সভাপতি র লোকজন পালিয়ে যায় বলে সূত্র মারফত জানা যায় । দুই পক্ষেরই লোকজন দুই ধারে জমায়েত হয়ে পড়ে । ফলে ঘটনার উত্তেজনা বাড়ে এলাকায় । ঘটনাস্থলে পৌঁছায় অন্ডাল থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। নিয়ন্ত্রণে। যদিও শেষ পর্যন্ত অন্ডাল ব্লক সভাপতির কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়ন