নিজস্ব সংবাদদাতাঃ দিন পনেরো আগে শেষ হয়েছে উখড়ার ঐতিহ্যপূর্ণ ঝুলন মেলা উৎসব। দিনে দিনে উখরার জায়গার সংকট হওয়ায় বর্তমানে মেলার বেশিরভাগ দোকানপাট বসে উখড়ার স্কুল ময়দানে । আর এই স্কুল মাঠের ওপরই নির্ভর করে ওখরার অধিকাংশ খেলোয়াড়দের খেলাধুলা । এই মাঠেই নিয়মিত চলে ফুটবল ও ক্রিকেটের প্রশিক্ষণ শিবির । কিন্তু মেলা ক'দিন হয় না খেলাধুলা । প্রত্যেক বছরই দেখা যায় মেলা শেষে খেলার মাঠের অবস্থা করুন হয়ে পড়ে । মেলা শেষ হওয়ার এতদিন পরও খেলার মাঠ ভরে আছে জঞ্জালে । যদিও এই ব্যাপারে উদ্যোগী উখরা পঞ্চায়েত । পঞ্চায়েতের উপপ্রধান রাজু মুখোপাধ্যায় জানান, এই মাঠটির ওপর উখরা পঞ্চায়েতের দৃষ্টি রয়েছে । তিনি জানান মেলা কমিটির সঙ্গে কথা হয়েছে । তিনি এও বলেন যখন মেলার দোকানি খেলার মাঠে তাদের দোকানপাট করবার ইচ্ছা প্রকাশ করে সেই সময় তাদের সাথে একটা চুক্তি হয় । চুক্তি মত মেলা শেষে মাঠ পরিস্কার করার দায় তাদেরই । অথচ খেলার মাঠ যাদের সেই স্কুল কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে উদাসীন । কেননা মাঠটি মেলা কমিটিকে দেওয়ার জন্য রীতিমতো স্কুল কর্তৃপক্ষ মোটা অঙ্কের টাকা পান । যখন স্কুল টাকা পায় মাঠ পরিস্কারের দায় স্কুলেরই হওয়া উচিত ।
অথচ মেলা শেষ হওয়ার এতদিন পরও মাঠের অবস্থা বেহাল । বন্ধ রয়েছে সমস্ত রকম খেলাধুলা। বন্ধ রয়েছে ক্রিকেট ও ফুটবলের মত কোচিং শিবির। খেলার মাঠের এই বেহাল অবস্থা প্রসঙ্গে পশ্চিম বর্ধমান জেলার বিজেপির সহ-সভাপতি ছোটন চক্রবর্তীর জানান, খেলার মাঠে মেলা পরে যুব সমাজকে খেলা থেকে বঞ্চিত করে মেলা করার পক্ষে তারা নন । তিনি বলেন মেলা হোক কিন্তু তার জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করা উচিতl' খেলার মাঠে মেলা বসতে দেওয়ার জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষ বিপুল পরিমাণে টাকা নেয় তাদের উচিত মেলা শেষে খেলার মাঠ থেকে উপযুক্ত করে দেওয়া ।
এলাকার এক প্রাক্তন খেলোয়াড় প্রশান্ত পাল জানান, অবশ্যই ঐতিহ্যপূর্ণ ঝুলন মেলা প্রত্যেক বছর হোক এটা তারা চান। তবে মেলা শেষে খেলার মাঠের অবস্থা পুনরায় খেলার যোগ্য করে দেওয়ার দায় মেলা কমিটির। তাই প্রাক্তন খেলোয়াড় হিসেবে তিনি চান শীঘ্রই মাঠটি তার পূর্ণরূপে ফিরে আসুক । যদিও পঞ্চায়েতের উপপ্রধান রাজু মুখার্জি জানান, আজ থেকেই অর্থাৎ শুক্রবার থেকেই মাঠ পরিষ্কারের কাজ শুরু হচ্ছে।