দিগ্বিজয় মাহালী, পশ্চিম মেদিনীপুর : বাঁশ বনে খোলা আকাশের নিচে বাঁশ পাতাকে জ্বালানি হিসাবে কাজে লাগিয়ে আইসিডিএস কেন্দ্রর ৯১ জনের রান্না করা ও দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে শিক্ষিকার স্কুলে না আসা নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছে এলাকাবাসী ।স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, অঙ্গওয়াড়ী কেন্দ্র রয়েছে, কিন্তু আসে না দিদিমণি, তাই আসে না পড়ুয়ারাও। এমনই ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা ১ নম্বর ব্লকের বেড়াবেড়িয়া আইসিডিএস কেন্দ্রের। এলাকার মানুষজনদের দাবি, এই আইসিডিএস কেন্দ্র থেকে ছোট্ট শিশু ও গর্ভবতী মায়েদের খাবার তৈরি হয়, সেই আইসিডিএস কেন্দ্রের খাবারের তৈরি স্থানের কেন এমন পরিস্থিতি। বাঁশ পাতাকে জ্বালানি হিসাবে ব্যবহার করে রান্না করতে হচ্ছে,আর সেই রান্নাই চলে যাচ্ছে গর্ভবতী মা ও ছোট্ট ছোট্ট শিশুদের কাছে, কেন এমন পরিস্থিতি কাঠের জ্বালানি বা রান্না ঘর কেন নেই উঠছে প্রশ্ন।
এই কেন্দ্রে কয়েক মাস ধরে দেখা নেই কোন ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে শিক্ষিকার।বেডাবেড়িয়া আইসিডিএস কেন্দ্রের প্রায় ৭০ জন পড়ুয়া ও ২১ জন প্রসূতি মায়ের রান্না করা হয় প্রতিদিন।এই কেন্দ্রে একজন শিক্ষিকা একজন সহায়িকা থাকলেও শিক্ষিকা প্রায় কয়েক মাস ধরে আসেন না তাই ছাত্রছাত্রীরাও আসছে না বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।এলাকাবাসীরা বলেন,"এইভাবে রান্না করলে যে কোনও মুহূর্তে দূর্ঘটনা ঘটতে পারে।' কেন্দ্রের সহায়িকা তনুশ্রী ঘোষের দাবি, 'এখান থেকে ৯১ জনের রান্না করা হয় প্রতিদিন,খোলা আকাশের নিচেই দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে রান্না। আমরা ব্লক প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়েছি কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি।আর শারীরিক অসুস্থতা থাকার কারণে শিক্ষিকা আসেনি আজ, কিন্তু মাঝেমধ্যে উনি আসেন।' আইসিডিএস কেন্দ্রের শিক্ষিকা চায়না মাঝির সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, কিছু অসুবিধা থাকার কারণে তিনি আসেননি কিন্তু মাঝেমধ্যে আসেন।আর এই আইসিডিএস কেন্দ্রে আসতে হয় ছোট্ট বাচ্চাদের নৌকায় চড়ে, শিলাবতী নদী পার হয়ে। তাই সেই বাচ্চারা আইসিডিএস কেন্দ্রে আসতে পারে না।রান্নার বিষয়ে তিনি বলেন, ব্লক প্রশাসন থেকে শুরু করে গ্রাম পঞ্চায়েত সকলকে জানানো হয়েছে এখনো পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন।এ বিষয়ে চন্দ্রকোনা ১ নম্বর ব্লকের বিডিও রথীন্দ্রনাথ অধিকারী বলেন, " আমি বিষয়টি শুনেছি খোঁজখবর নিয়ে দেখছি।''