দিগ্বিজয় মাহালী পশ্চিম মেদিনীপুর : মেদিনীপুর সদরে ৮০টি হাতির পাল, বাড়ি ভাঙায় আতঙ্ক, পাহারায় বনকর্মীরা।ঝাড়গ্রামকে স্বস্তি দিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মেদিনীপুর সদরে প্রবেশ করল আরও ৬০টি হাতির একটি পাল। রয়েছে ২০ টি হাতির একটি পালও। ৮০টি হাতিকে ঘিরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে সদরের গুড়গুড়িপাল থানা এলাকায়। সম্প্রতি ঝাড়গ্রামে এই হাতিগুলির হানায় বহুজনের মৃত্যুর পাশাপাশি আহত হয়েছেন অনেকে। জমির ফসল, ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ওই ঘটনার পর মেদিনীপুর সদরে বৃহস্পতিবার ভোরে ৬০টি হাতির একটি পাল প্রবেশ করে।
দিনকয়েক আগে ২০টি হাতির একটি পাল প্রবেশ করে ডেরা বেঁধেছে চাঁদড়ার জঙ্গলে। হাতির দুটি পালকে নিয়ে চিন্তায় বনদফতর। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই এলাকায় সচেতনতা প্রচার শুরু করে। এদিকে বুধবার রাতে দলছুট এক দাঁতাল শিরশি এলাকায় দুই ব্যক্তির বাড়ি ভাঙে খাবারের খোঁজে। বাড়ির মালিক দীনেশচন্দ্র মাহাতো জানান, 'রাত একটা নাগাদ বাড়ি ভাঙার শব্দ শুনে বেরিয়ে দেখি দেওয়াল এবং ছাউনির টালি ভেঙে ফেলছে। বন দফতরে খবর দিলে রাতেই হাজির হন বনকর্মীরা। হাতিটিকে তাড়িয়ে পার্শ্ববর্তী জঙ্গলে পাঠায়। সারারাত দলমার দাঁতালদের নজরে রাখতে টহলদারি চালিয়েছে বনদফতরের দুটি টিম।' জানা গিয়েছে, চাঁদড়ার শুকনাখালির জঙ্গলে ২০টি এবং চিলগোড়ার জঙ্গলে ৬০টি হাতি রয়েছে। চিলগোড়ার জঙ্গল পথ দিয়ে শিরশি, বাঘঘরা সহ বিভিন্ন গ্রামের মানুষজন যাতায়াত করেন। জঙ্গলে হাতি থাকায় ওই পথ দিয়ে যাতায়াত বন্ধ করেন বনকর্মীরা। সকাল থেকে রাস্তায় পাহারায় থাকেন বনকর্মীরা। দেখা গিয়েছে, পথচারীদের ওই রাস্তায় যেতে না দিয়ে ফিরিয়ে দিচ্ছেন। এবং বিকল্প রাস্তা ব্যবহার করতে বলছেন। শিরশি এলাকার বাসিন্দা বুদ্ধেশ্বর মাহাতো বলেন, "রাস্তার পাশে জঙ্গলে ৬০টি হাতি রয়েছে। মাঝে মধ্যে রাস্তা পারাপার করছে। যাতে কোনো বিপদ না ঘটে তার জন্য বনকর্মীরা অন্য পথ দিয়ে যাতায়াত করতে বলছেন।" ৮০টি হাতির উপস্থিতিতে আলামপুর, চিলগোড়া, হরিণাকালানী, শিরশি সহ বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে ধান জমির। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, হাতির পাল দুটিকে বাঁকুড়ার দিকে পাঠানোর চেষ্টা চলছে।