দ্বিতীয় বার বিদেশ পাড়ি দিল মেদিনীপুর হোম-এর কন্যা সন্তান

author-image
Harmeet
New Update
দ্বিতীয় বার বিদেশ পাড়ি দিল মেদিনীপুর হোম-এর কন্যা সন্তান

নিজস্ব সংবাদদাতা, পশ্চিম মেদিনীপুর : সন্তান তো সন্তানই হয়। কিন্তু সে মানসিকগতভাবে বা শারীরিকগতভাবে একটু অন্যরকম হলেই সেই সন্তানকে নিতে চান না অনেকেই। ২০২০ সালের ২৯ মে মেদিনীপুর শহরের মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেওয়ার পর তার বাবা-মা দেখেন তাদের কন্যা সন্তানটি আর পাঁচটা স্বাভাবিক বাচ্চার মতো হয়নি । এক বিশেষ শারীরিক অক্ষমতা নিয়ে শিশুটি জন্মগ্রহণ করে। তার পায়ের গঠনে কিছুটা অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করা যায়। এহেন অস্বাভাবিক গঠনযুক্ত সন্তানকে নিয়ে সারা জীবন কাটাতে পারবে না, হয়তো এই ভেবেই সেই কন্যা সন্তানকে জন্মের পরই ফেলে রেখে চলে যায় তার বাবা-মা। এরপর হাসপাতালে ছয় মাস থাকার পর শিশুটির ঠাঁই হয় মেদিনীপুরের বিদ্যাসাগর বালিকা ভবন বা হোমে। সেখানে হোম এর আয়া ও নার্সদের আদরে ভালোবাসায় আর পাঁচটা শিশুর সাথেই বড় হতে থাকে এই কন্যাটিও। এরপর কেটে যায় আরো দু’বছর তিন মাস। ইতিমধ্যে শিশুটি আর পাঁচটা বাচ্চার মতই স্বাভাবিক নিয়মে বড় হয়ে উঠেছে ,খেলছে , তবে সকলের মত সে দৌড়াতে পারত না, মাথাও সোজা রাখতে পারত না বেশিক্ষণ।

আফা (অথোরাইজড ফরেন অ্যাডাপশন অথরিটি) এর মাধ্যমে এক আমেরিকার দম্পতি ভারতের নারী ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। যাবতীয় কাগজপত্র আপলোড করে রেজিস্টার করেন কেন্দ্রের ‘সেন্ট্রাল অ্যাডাপশন রিসোর্স অথরিটি’র পোর্টালে এবং সেই সূত্রেই তাদের সন্ধানে আসে বিদ্যাসাগর বালিকা ভবনের এই কন্যা শিশুটি। শিশুটির সমস্ত মেডিকেল রিপোর্ট দেখেই তারা এই শিশুটিকে পছন্দ করেন এবং দত্তক নেওয়ার জন্য মনস্থির করেন। জেলা আদালতের বিচারক সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে শিশুটিকে ওই দম্পতির হাতে তুলে দেন। মঙ্গলবার সমাজ কল্যাণ বিভাগের অতিরিক্ত জেলা শাসক কেম্পা হোন্নাইয়া বলেন, “শিশুটিকে আজ ওই আমেরিকার দম্পতির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে”।