নিজস্ব সংবাদদাতাঃ মহারাষ্ট্রের পালঘর জেলায় চাঞ্চল্যকর ঘটনা। ২৬ বছরের এক তরুণ গাছে দড়ি দিয়ে ঝুলে আত্মহত্যা করেন। ছেলের আত্মহত্যা দেখে শোক সহ্য করতে না পেরে ছুটে গিয়ে গভীর কুয়োয় ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন মা-ও। কেলওয়া পুলিশের আওতায় থাকা ভুরে গ্রামে মা-ছেলের আত্মহত্যার ঘটনায় শোকের ছায়া। ২৬ বছরের শৈলেশ পাটিল কেন আত্মহত্যা করেছেন তা এখনো স্পষ্ট নয়। কোনও রকম সুইসাইড নোট তিনি রেখে যাননি। কোনো কারণে ক'দিন ধরে মানসিক হতাশায় ভুগছিলেন তিনি, তা জানিয়েছে তার পরিবারের সদস্যরা। শপিং মলে কাজ করত সে।
/)
এক গ্রামবাসী জানান, গ্রামের মাঠের গাছে শৈলেশকে ঝুলতে দেখে তার বাড়ির লোকেদের খবর দেওয়া হয়। শৈলেশের মা ছেলের দেহ দেখে খুব জোরে চেঁচিয়ে কাঁদতে থাকেন। তারপর পুত্রশোকে ছুটে গিয়ে মাঠের গভীর কুয়োয় ঝাঁপ দেন। পরে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। শৈলেশের মায়ের নাম কল্পনা (৪০)। শৈলেশের বাবা ও বোন তাদের পরিবারের দুই সদস্যের আত্মহত্যায় পুরোপুরি ভেঙে পড়েছেন। পুলিশ জানায়, তাদের খবর না দিয়েই কল্পনা ও তার ছেলে শৈলেশের দেহের শেষকৃত্য করা হয়। কেন দুজনে আত্মহত্যা করলেন, এবং পুলিশকে না জানিয়ে কেন শেষকৃত্য করা হল তা নিয়ে তদন্ত করছে পুলিশ।