হরি ঘোষ, জামুড়িয়া : জামুড়িয়ায় এক বেসরকারি কারখানার গেটের সামনে বাউরী সমাজ এবং কোম্পানি লাগোয়া সার্থকপুর গ্রামের বাসিন্দারা বিক্ষোভ দেখালো। তাদের সঙ্গে বচসা বাধে পুলিশের। পশ্চিম বর্ধমানের জামুড়িয়া এক শিল্পতালুক এলাকা বলে পরিচিত ,বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অভিযোগ ওঠে এই সমস্ত বেসরকারি কারখানার বিরুদ্ধে। কখনো অবৈধভাবে জমি দখল করা, কখনো অবৈধভাবে নদীর বাঁক পরিবর্তন করে দেওয়া, কখনো নদীর জল নষ্ট করা,বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অভিযোগ উঠে এসেছে। এই নিয়ে আজ জামুরিয়া স্যামসেল বেসরকারি কারখানার গেটের সামনে বাউরী সমাজ বিক্ষোভ দেখালো এবং এই বিক্ষোভ দেখানোর সময় পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়ে বিক্ষোভকারীরা। অভিযোগ স্যামসেলের তিন নম্বর গেট সংলগ্ন একটি শ্মশান আছে। সেই শ্মশানটি বহু পুরনো। এমনকি এই শ্মশানে মহা সাধক বামদেব এসে সাধনা করেছিলেন, এতই পুরনো এই শ্মশান। কিন্তু আজ এই বেসরকারি কারখানার জন্য বা স্থানীয় কিছু শাসক দলের নেতাদের জন্য আজ এই শ্মশান বিলুপ্তির মুখে পড়েছে , বারংবার কোম্পানির কর্তৃপক্ষের কাছে দ্বারস্থ হলেও বা স্থানীয় শাসক দলের নেতা-নেত্রীদের কাছে দ্বারস্থ হয়েও কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।
এছাড়াও কোম্পানি লাগোয়া এক বিশাল পৌরাণিক জঙ্গল রয়েছে যার নাম নীল বন-জঙ্গল। সেটিও এখন বিলুপ্তির মুখে পড়েছে এই কোম্পানির জন্য। এই শ্মশান বা জঙ্গলের আশেপাশে প্রায় সাত থেকে আটটি গ্রাম উপভোগ করতেন কিন্তু বর্তমানে কোম্পানির আয়ত্তে আশায় এই জঙ্গল বা শ্মশানকে আজকে বিলুপ্তির মুখে পড়তে হচ্ছে!এইসব দাবি-দাওয়া নিয়ে বাউরী সমাজ বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্যামসেল তিন নম্বর গেটের সামনে। পরে জামুরিয়া থানা থেকে বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে এলে বচসায় জড়িয়ে পড়ে বিক্ষোভকারীরা। এরপরে কোম্পানি ৫ দিনের সময় চাওয়ার আশ্বাসে বিক্ষোভকারীরা বিক্ষোভ উঠিয়ে নেয়। এবং এও জানান যদি পাঁচ দিন পর এই সমস্যার সুরাহা না হয় বৃহত্তর আন্দোলনের পথে যাবেন তারা। যদিও এই পুরো বিষয় নিয়ে কোম্পানি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কোন যোগাযোগ করা যায়নি।