New Update
দিগ্বিজয় মাহালী, পশ্চিম মেদিনীপুর : পিংলার পটচিত্র পরিদর্শনে এলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার জেলাশাসক আয়েসা রানী।পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পিংলা ব্লকের একটি ছোট্ট গ্রাম নয়া। এই গ্রামের সঙ্গে মিশে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের একটি অন্যতম শিল্পমাধ্যমের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির ইতিহাস, যা শুধু এ রাজ্যে নয় বিশ্বের দরবারেও আজ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। পিংলা ব্লকের নয়া গ্রাম পশ্চিমবঙ্গে একমাত্র পটচিত্র গ্রাম, যেখানে প্রবেশ করার পরেই আপনি এক অদ্ভূত পরিবেশের আত্মোপলব্ধি করতে পারবেন। গ্রামের প্রতিটি বাড়ির দেওয়ালে এবং উঠোনে এই পটচিত্র দেখতে পাওয়া যায়। শুধু তাই নয়, বাড়ির সামনেই পটচিত্রের পসরা সাজিয়ে বসে অনেকে, আবার কেউ কেউ ঘরের সামনে বসেই ছবি আঁকেন।
সংস্কৃত ‘পট’ শব্দের অর্থ হল কাপড়, আর ‘চিত্র’ মানে ছবি অর্থাৎ পটচিত্র বলতে কাপড়ের উপর অঙ্কিত চিত্রকে বোঝানো হয়। এই চিত্র অঙ্কন করার জন্য প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি সমস্ত রং ব্যবহার করা হয়, যেমন- গাছের সিম দিয়ে সবুজ রং, ভুসোকালি দিয়ে কালো রং, অপরাজিতা ফুল দিয়ে নীল রং, সেগুন গাছের পাতা দিয়ে মেরুন রং, পান-সুপারি চুন দিয়ে লাল রং, পুঁই ফল দিয়ে গোলাপি রং, কাঁচা হলুদ দিয়ে হলুদ রং, পুকুর খনন করে মাটি বের করে তা দিয়ে সাদা রং ইত্যাদি। সাধারণত এই সমস্ত প্রাকৃতিক রং দিয়ে, ছাতা, হাতপাখা, হ্যান্ডব্যাগ, মোড়া, লন্ঠন, কেটলি ইত্যাদি আঁকা হলেও; শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, টি-শার্ট-এ তারা ফেব্রিক রং করে থাকেন, রামায়ণ, মহাভারত, দুর্গা কাহিনী মঙ্গলকাব্যের বিভিন্ন পটচিত্র এঁকে থাকেন।আর এমনই একটি গ্রামের পটচিত্র পরিদর্শনে এলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাশাসক আয়েসা রানী।এছাড়া উপস্থিত ছিলেন পিংলা সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক বিশ্বরঞ্জন চক্রবর্তী, পিংলা থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি প্রশান্ত কীর্তনীয়া, পিংলা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বীরেন্দ্রনাথ মাইতি, পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ চণ্ডীচরণ সামন্ত, বিশিষ্ট সমাজসেবী মানিক খান সহ প্রশাসনিক একাধিক কর্মকর্তারা।এদিন পটের গানও শোনেন জেলা শাসক। দেখেন পটের বিভিন্ন ধরনের কাজ।
saree
dm
salwar
westmidnapur
ayesharani
pinglapatchitra
vegetablecolor
birendranathmakity
manikkhan
biswaranjanchakrabarty
chandicharansamanta
prashantakirtania