'মাঝেরহাট হতে দেবো না', নিজে দাঁড়িয়ে থেকে ভারী গাড়ির কাগজ দেখছেন জেলাশাসক

author-image
Harmeet
New Update
'মাঝেরহাট হতে দেবো না', নিজে দাঁড়িয়ে থেকে ভারী গাড়ির কাগজ দেখছেন জেলাশাসক

দিগ্বিজয় মাহালী, মেদিনীপুরঃ ৬০ নং জাতীয় সড়কের ওপর রাতের অন্ধকারে হাত দেখিয়ে লরি দাঁড় করাচ্ছেন চুড়িদার পরা এক মহিলা। পাশে রয়েছেন খাঁকি পোশাক পরা এক ব্যক্তি। এক ঝলক এই ছবি দেখলে ঘাবড়ে যেতে পারেন অনেকে। এই মহিলা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বর্তমান জেলাশাসক আয়েশ রানী। মেদিনীপুর ও খড়্গপুরের সংযোগস্থলে থাকা ৬০ নং জাতীয় সড়কের অন্তর্গত কংসাবতী নদীর ওপর থাকা বীরেন্দ্র শাসমল সেতুর স্বাস্থ্য একেবারেই বেহাল।

 

যার জেরে কয়েক মাস আগেই এই সেতুর ওপর দিয়ে আট টনের বেশি যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। কিন্তু সেই নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে প্রতিদিনই গভীর রাতে এই সেতু দিয়ে ভারী গাড়ি চলাচল করে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীদের। আর সেই অভিযোগ পেয়েই গতকাল গভীর রাতে সাধারণ পোশাকে জাতীয় সড়কে হাজির হন জেলাশাসক। রাস্তায় গাড়ি দাঁড় করিয়ে চেক করতে থাকেন তিনি। 

সেতুতে ভারী গাড়ি সে সময় না পেলেও সেতুতে ওঠার আগে ধর্মা ও এনিকেট গেট সংলগ্ন এলাকায় একাধিক ভারী গাড়িকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন তিনি। এনিকেট গেট সংলগ্ন এলাকার চালকেরা পালিয়ে গেলেও ধর্মার মোড়ে ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকা প্রত্যেকটি গাড়ির কাগজ বাজেয়াপ্ত করেন তিনি। গাড়িগুলির গন্তব্যস্থল সেতুর অপর প্রান্তে। প্রতিটি গাড়িরই ওজন ৮ টনের বেশি বলেই জানা গিয়েছে। ঘটনায় ক্ষুব্ধ হন জেলাশাসক। সদর মহকুমাশাসক-সহ প্রশাসনের কর্তা-ব্যক্তিদের বলেছেন, "মাঝেরহাট হতে দেব না। আমি অর্ডার দিয়েছি এর উপর দিয়ে ভারী গাড়ি যাবে না। আপনারা রাতে নজরদারি করুন।"