নিজস্ব সংবাদদাতাঃ প্রত্যেক ছবি তৈরি করার সময় একটি খেরোর খাতায় সবটা লিখতেন সত্যজিৎ রায়। লাল খেরোর কাপড় দিয়ে বাঁধানো নোটবইটি সত্যজিৎ রায় নিজের চলচ্চিত্র নির্মাণের কাজে ব্যবহার করতেন। পরবর্তীকালে সেটি পরিণত হয়েছিল ফিল্মের খাতায়। একেকটি সিনেমার জন্য একেকটি খেরোর খাতা। বলা ভাল, এ যেন চলচ্চিত্র নির্মাণের অনন্য দলিল। এখন সেই খাতা যদি এসে যায় আপনার হাতের মুঠোর! ভাবতে পারছেন, হাতে সোনার চাঁদ পাওয়ার মতো বিষয়। এবার তেমনটাই হয়েছে। কিছু উদ্যোগী মানুষের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে তৈরি হয়েছে একটি ওয়েবসাইট exploreray.org, যেখানে গেলেই আপনি পেয়ে যাবে অমূল্য সম্পদ। ছবি তৈরির সময় সত্যজিৎ নিজেই সবক’টি ক্ষেত্র খুঁতিয়ে দেখতেন। ক্যাপটেন অফ দ্য শিপ বলতে আক্ষরিক অর্থে যা বোঝায়, তিনি ছিলেন ঠিক তাই। কেবল, লাইট, সাউন্ড, ক্যামেরারা আর অ্যাকশনেই থমকে ছিল না তাঁর বিচরণ। প্রত্যেকটি সিন নিজে হাঁতে আঁকতেন খেরোর খাতায়। চরিত্ররা কী পোশাক পরবে, স্টোরি বোর্ড কী হবে, সঙ্গীত, চরিত্র, সেট, সংলাপ, প্রোডাকশন নোট, পোস্ট প্রোডাকশনের খুঁটিনাটি – সবটাই রে লিখে রাখতেন সেই খাতায়। নিজের সারাজীবনে ৫০টিরও বেশি সিনেমা তৈরি করেছেন। প্রত্যেক ছবির জন্য রেখে গিয়েছেন খেরোর খাতা – সত্যজিতের অনন্য সম্পদ!