বিধবা যুবতীকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার কনস্টেবল

author-image
Harmeet
New Update
বিধবা যুবতীকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার কনস্টেবল

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঝাড়গ্রাম :ঝাড়গ্রামে এক বিধবা যুবতীকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার কনস্টেবল।ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার গভীর রাতে ঝাড়গ্রাম শহরের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের রঘুনাথপুর এলাকায়। মৃত যুবতীর নাম শ্রাবন্তী চক্রবর্তী। তার বয়স ৩২ বছর। শ্রাবন্তীর স্বামী কয়েক বছর আগে মারা যায়, দশ বছরের ছেলে ও সাত বছরের মেয়েকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে রঘুনাথপুরে থাকতেন। প্রথমে শ্রাবন্তী ওষুধের দোকানে কাজ করতেন, পরে অনলাইনে বিভিন্ন সামগ্রী বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কাজ করছিলেন । কাজের জন্য ছেলে ও মেয়েকে ঝাড়গ্রামের এক হোস্টেলে রেখেছিলেন শ্রাবন্তী। শ্রাবন্তীর বাড়িতে প্রতাপ নস্কর নামে ঝাড়গ্রাম থানায় কর্মরত এক পুলিশ কর্মীর যাতায়াত ছিল। ওই পুলিশ কনস্টেবল এর বাড়ি মগরাহাট এলাকায়। শনিবার রাতে শ্রাবন্তীর বাড়িতে চিৎকার চেঁচামেচি শোনা যায় । ওই সময় শ্রাবন্তীর বাড়িতে পুলিশ কনস্টেবল প্রতাপ নস্কর ছিল বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান। 

​শ্রাবন্তীকে শ্বাসরোধ করে খুন করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলিয়ে দেয় বলে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। প্রতাপ নস্করের সাথে সম্পর্ক ছিল শ্রাবন্তীর ।বাড়ির দরজা ভেঙ্গে পুলিশ শ্রাবন্তীকে উদ্ধার করে ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার বাবুরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। শ্রাবন্তীকে শ্বাসরোধ করে ওই কনস্টেবল খুন করেছে বলে ঝাড়গ্রাম থানায় রবিবার অভিযোগ দায়ের করেন শ্রাবন্তীর মামা তরুণ দে । শ্রাবন্তী চক্রবর্তীর মামার অভিযোগের ভিত্তিতে ঝাড়গ্রাম থানার পুলিশ প্রতাপ নস্কর নামে ওই কনস্টেবল কে রবিবার গ্রেফতার করে। পুলিশ বলেন অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত পুলিশ কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার অভিযুক্ত কনস্টেবল প্রতাপ নস্কর কে ঝাড়গ্রাম আদালতে তোলা হয়। ঝাড়গ্রাম আদালতে পুলিশের পক্ষ থেকে অভিযুক্তকে ৫ দিন পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানানো হয়। ঝাড়গ্রাম আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক পুলিশের ৫ দিনের আবেদনের বদলে অভিযুক্ত প্রতাপ নস্কর কে তিন দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন । সেই সঙ্গে পুলিশ ধৃতকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে সোমবার থেকে ওই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। তবে ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঝাড়গ্রাম শহরের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের রঘুনাথপুর এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।