New Update
দিগ্বিজয় মাহালী, পশ্চিম মেদিনীপুর : শুক্রবার রাতে ঝড়ে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতাল। এদিকে বন্ধ জেনারেটর। অগত্যা রাত থেকে সকাল পর্যন্ত অন্ধকারে ডুবে গোটা চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতাল। মোবাইলের টর্চ বা মোমবাতি জ্বালিয়ে জরুরি বিভাগে কাজ করছেন নার্সরাষ বিদ্যুতের অভাবে হাসপাতালের ভিতরে দেখা দিয়েছে পানীয় জলের সমস্যা। রোগী নিয়ে বাইরের ট্যাপ কলের জল ব্যবহার করতে যেতে হচ্ছে রোগীর পরিজনদের।শুক্রবার রাত থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত এখনও বিদ্যুৎ না আসায় চরম ভোগান্তি ও ঝুঁকি নিয়ে কাজ চলছে চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে।ঘটনায় ক্ষুব্ধ রোগী,রোগীর পরিজন থেকে চিকিৎসক ও নার্সরা।বিদ্যুৎ বিভ্রাটে এমনই বেহাল অবস্থা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালের।
জানা যায়, গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে দফায় দফায় বৃষ্টি হয়। কিন্তু সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হয় তুমুল ঝোড়ো হাওয়া, যার জেরে ঘটে বিপত্তি। চন্দ্রকোনা শহরের অধিকাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তার সাথেই গতকাল রাত সাড়ে ন'টার পর থেকে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে। হাসপাতালে থাকা ইনভার্টার সাময়িক চললেও কিছুক্ষণ পর বন্ধ হয়ে যায়। জেনারেটর পরিষেবার জন্য হাসপাতালে জেনারেটর থাকলেও তা বন্ধ কারণ টেন্ডার নেওয়া সংস্থা হাসপাতালে থেকে মোটা অঙ্কের বিল না পেয়ে পরিষেবা আগেই বন্ধ করে দিয়েছে। সাময়িক হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে পরিষেবা সচল রাখার জন্য একটি অস্থায়ী জেনারেটর থাকলেও তা বন্ধ হয়ে পড়ে। ফলে গতকাল রাত থেকে আজ সকাল পর্যন্ত এখনও বিদ্যুৎ না আসায় চরম সমস্যায় পড়েছে রোগী থেকে রোগীর পরিজন এমনকি ভোগান্তির কথা স্বীকার করছেন হাসপাতালের নার্স থেকে চিকিৎসকরাও। হাসপাতালে ভর্তি রোগীর পরিজনদের দাবি, গতকাল রাত থেকে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন গোটা হাসপাতাল,ওয়ার্ডে রোগী নিয়ে অন্ধকারে কাটাতে হয়েছে এমনকি বেডে অসুস্থ শিশু অন্ধকারে বেড থেকেও পড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। হাসপাতালে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকায় রাত ওয়ার্ডে বা হাসপাতালের ভিতরে পানীয় জল সরবরাহ বন্ধ,যার জেরে রোগীকে বেডে একা রেখে কিংবা রোগীকে সাথে নিয়েই পানীয় জলের জন্য বাইরে যেতে হচ্ছে।এছাড়াও হাসপাতালের একাধিক পরিষেবা নিয়েও নানান অভিযোগ রোগীর পরিজনদের। অনেকের দাবি,হাসপাতালে মিলছেনা স্যালাইন। হয় বাইরে থেকে আনতে হবে, না হয় রোগীকে অন্যত্র স্যালাইনের অভাবে রেফার হতে হচ্ছে। শনিবার সকালে তেমনই একজন কেমো নেওয়া রোগীর সমস্যা দেখা দেওয়ায় তাকে চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে স্যালাইনের অভাবে অন্যত্র নিয়ে চলে যেতে দেখা গেলে। রাত থেকে এদিন সকাল পর্যন্ত অন্ধকারে ডুবে গোটা চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতাল আর এতেই একপ্রকার চিকিৎসা পরিষেবা পেতে চরম সমস্যায় পড়তে হচ্ছে হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের।ঘটনায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ রোগীর পরিজন থেকে চিকিৎসক এবং নার্সরা।হাসপাতালে অবিলম্বে স্থায়ী জেনারেটর পরিষেবা পুনরায় চালু হোক দাবি সকলের।
sorm
rain
doctors
electricity
drinkingwatercrisis
operationtheatre
genarator
nursempatient
mobiletorch
chandrakonagramonhospital
loadshedding