নিজস্ব সংবাদদাতাঃ অসভ্য বলে যৌনতায় অস্বীকার করায় স্ত্রীকে গলা টিপে হত্যা করল স্বামী। এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে বেঙ্গালুরুতে। মাদিওয়ালার বাসিন্দা পৃথ্বিরাজ সিং সম্প্রতি পুলিশের দ্বারস্থ হয়। স্ত্রীর খোঁজ মিলছে না বলে থানায় যায় পৃথ্বি। বিহারের বাসিন্দা পৃথ্বির বেঙ্গালুরুতে মাদিওয়ালার বাড়িতে হাজির হয়ে পুলিশের সন্দেহ হয়। পৃথ্বি কিছু লুকোচ্ছে। এমন সন্দেহ হওয়াতেই পুলিশ জোর কদমে তদন্ত শুরু করে। এরপর পৃথ্বির বন্ধু সমীর কুমারকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। সমীর জানান, পৃথ্বি এবং তাঁর স্ত্রী জ্যোতির মধ্যে দাম্পত্য সম্পর্ক মোটেই সুখকর ছিল না। প্রায়শয়ই তাঁদের ঝগড়াঝাটি লেগে থাকত। পৃথ্বি পশুর মত ব্যবহার করেন বলে সমীরের কাছে বেশ কয়েকবার অভিযোগও করেন জ্যোতি। এরপর পৃথ্বিকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে পৃথ্বি জানায়, ২৮ বছর বয়স বলে জ্যোতির সঙ্গে তার বিয়ে দেয় পাত্রী পক্ষ। বিয়ের পর পৃথ্বি জানতে পারে, জ্যোতি তার চেয়ে ১০ বছরের বড় অর্থাৎ ৩৮। বিয়ের পর থেকেই জ্যোতি কখনও তার সঙ্গে যৌন সম্পর্কে রাজি হননি। পৃথ্বির বাবা-মাকেও জ্যোতি অসভ্য বলে বারবার অপমান করতেন বলে অভিযোগ। এসবের জেরেই পৃথ্বি স্ত্রীকে শেষ করার সিদ্ধান্ত নেয়। বন্ধুর সমীরের সহযোগিতায় জ্যোতিকে হত্যা করে পৃথ্বি। এরপর সিরডি ঘাটে জ্যোতির মৃতদেহ ছুড়ে ফেলে পৃথ্বি। পুলিশ জ্যোতির মৃতদেহ খুঁজে বের করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।