নিজস্ব সংবাদদাতাঃ দক্ষিণবঙ্গের কোনও একটি জেলায় ‘দাওয়াত’ দিতে এসেছিলেন। সেখানে বিলি করা হত জেহাদি লিফলেট। সঙ্গে নিয়ে এসেছিলেন জেহাদি পুস্তিকাও। মূলত সংগঠনের বিস্তার করাই ছিল লক্ষ্য। আল কায়দার ভারতের শাখা সংগঠনের সদস্য ধৃত আব্দুর রাকিবকে জেরা করে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এসেছে এসটিএফের হাতে। সূত্রের খবর, উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গে সংগঠনে কাজে আসছে আল কায়দা ইন ইন্ডিয়ান সাব-কন্টিনেন্ট বা আকিস-এর সদস্যরা, সেই খবর আগেই পেয়েছিল এসটিএফ। সেই মোতাবেক টিমও তৈরি করে রাখেন তাঁরা। এসটিএফ সূত্রে খবর, এর আগেও হাওড়া থেকে ‘আকিস’-এর যে মডিউল ধরা পড়েছিল, সে সময় বরাত জোরে পালিয়ে গিয়েছিল কাজি আহসান উল্লাহ। কলকাতায় বাড়ি ভাড়া করে থাকছিল। পুরনো গাড়ি কেনাবেচার ব্যবসা রয়েছে তার। সেই ব্যবসার আড়ালে সংগঠনের কাজ চালাচ্ছিল। দিনাজপুর থেকে আসা আব্দুর রকিবকে নিরাপদে কোথায় কীভাবে রাখা হবে, সেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল আহসানকে।
ধৃতদের থেকে ২টি স্মার্টফোন মিলেছে। সেগুলি সেন্ট্রাল ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি অর্থাৎ সিএফএসএস- এ পাঠানো হয়েছে। ডেটা উদ্ধারের চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। সেখান থেকেই মিলতে পারে এই সংগঠনের বিস্তার কতটা হয়েছে। সূত্রের খবর, ধৃত রকিব জেরায় ১৭ জন আকিস নেতার নাম বলেছে। তাদের মধ্যে কয়েকজন অসম, ভোপালে ধরা পড়লেও অনেকেই এখনও গ্রেফতার হয়নি। তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টায় রয়েছেন তদন্তকারীরা।