New Update
হরি ঘোষ, দুর্গাপুর : পড়ুয়ারা পাচ্ছে না মিড ডে মিল। অথচ প্রত্যেকদিনের মিড ডে মিলের পোর্টালে আপলোড হচ্ছে। স্কুল পরিদর্শনে দুর্গাপুর নগর নিগমের এডুকেশন অফিসার। ধমক দিলেন স্কুলের দুই শিক্ষিকা ও সম্পাদকে। করা হল শোকজও।দুর্গাপুরের ৪৩নম্বর ওয়ার্ডের আনন্দপুরের বিদ্যাসাগর শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে মিড ডে মিলের খাবার পাচ্ছে না খুদে পড়ুয়ারা। স্কুলে এসে খিদের যন্ত্রণায় ছটফট করতো এমনকি ভয়ে এই খুদেরা স্কুলমুখীও হচ্ছিলো না। অভিভাবকদের অভিযোগ পেয়ে দুর্গাপুর নগর নিগমের এডুকেশন অফিসার সংঘমিত্রা দাসগুপ্ত নগর নিগমের আধিকারিকদের নিয়ে চলে আসেন বিদ্যাসাগর শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে। অভিভাবকরা ব্যাপক ক্ষোভ উগরে দেন শিক্ষা দফতরের এই আধিকারিকের কাছে।
অভিভাবকদের মুখে অচলবস্থার কথা শুনে কড়া ধমক দেন স্কুলের দুই শিক্ষিকা রীনা ব্যানার্জি, যমুনা ভদ্রকে। স্কুলের সম্পাদক বিশ্বজিৎ মাঝিকেও করা হয় প্রশ্ন। কেন মিড ডে মিল নিয়ে দুর্গাপুর নগর নিগমকে অন্ধকারে রাখা হল? কেনই বা মিড ডে মিল না দিয়েও পোর্টালে আপলোড করা হল?দুর্গাপুর নগর নিগমের এডুকেশন অফিসার সংঘমিত্রা দাশগুপ্ত পরিষ্কার ভাষায় জানান যে স্কুলের দুই শিক্ষিকাকে মিড ডে মিল নিয়ে দুর্গাপুর নগর নিগমকে অন্ধকারে রাখার জন্য শোকজ করা হবে। সম্পাদক বিশ্বজিত মাজিকেও একই অপরাধে অভিযুক্ত করে তাকে সরানোর সুপারিশ করা হবে বলে জানান।অভিযোগ অস্বীকার করে স্কুল শিক্ষিকা রিনাদেবী জানান যে প্রতিদিনই মিড ডে মিল চলে, কেন অভিভাবকেরা এ কথা বলছেন তা জানেন না।স্কুলের সম্পাদক বিশ্বজিৎ মাঝিও জানান, যেই নিয়ে আমরা ডিএনসিসিকে জানিয়েছি ব্যাঙ্কের একটি সমস্যার কারণে এই সমস্যা তৈরি হয়েছে তবে দ্রুতই সমস্যা মিটে যাবে ।তবে প্রশ্ন উঠছে, মিড ডে মিল পড়ুয়ারা না পেয়ে থাকলে পোর্টালে আপলোড করে সরকার টাকা নিয়ে এই টাকা আত্মসাৎ করছে কারা? এছাড়া মিড ডে মিলের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কেন এতদিন গা ছাড়া দিয়ে রেখেছেন স্কুল শিক্ষিকা ও পরিচালন কমিটি?
Durgapur
teacher
students
portal
Anandapur
middaymeal
durgapurnagarigam
educationofficer
rinabanerjee
sanghamitradasgupta
biswajitmajhi
vidyasagarsisusikhakendra