হরি ঘোষ, পাণ্ডবেশ্বর : স্বাধীনতা দিবসে এ এক অনন্য নজির ! সিপিএম পার্টি অফিসে পতাকা উত্তোলন করলেন তৃণমূল বিধায়ক। পান্ডবেশ্বর বিধানসভার নবগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের সিপিআইএমের কিষান ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করলেন তৃণমূল বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী । রাস্তা দিয়ে যাওয়ার পথে হঠাৎই সিপিএম কর্মী সমর্থকরা বিধায়কের গাড়ি দাঁড় করান। এবং বিধায়ককে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে বলেন কমিউনিস্ট পার্টির অফিসে। রাজ্য রাজনীতি অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে সিপিএম এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সমীকরণে যথেষ্ট উত্তাপ রয়েছে।এমতাবস্থায় এহেন কার্যক্রম যথেষ্ট চর্চার বিষয় শিল্পাঞ্চলে।
এ বিষয়ে তৃণমূল বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেন, 'আজকের এই শুভ স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে কোনো ব্যাপারে রাজনৈতিক রং দেওয়া উচিত নয় ।আমি যেহেতু এই অঞ্চলের বিধায়ক তাই তারা অনুরোধ করেন এবং সেই মোতাবেক আমি জাতীয় পতাকা উত্তোলন করি।' কিন্তু মাননীয় বিধায়ক কিছুটা হলেও রাজনৈতিক রং চড়িয়ে বলেন, 'সিপিআইএম সরকার মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তৎকালীন জ্যোতি বসুর সরকার রাইটার্স বিল্ডিং থেকে চুলের মুঠি ধরে বার করে দিয়েছিলেন ।কিন্তু ২০১১ সালে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার গঠন করলে সেই কারাগারের নম্বরে সিপিএম নেতৃত্ব তথা বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য কিন্তু সহ সিপিএম নেতৃত্বকে ফিসফ্রাই খাইয়েছিলেন।' অন্যদিকে, আজমপুর সিপিআইএমের নবগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান কাঞ্চন মুখার্জি বলেন, 'মাননীয় বিধায়ক আমাদের ঘরের মানুষ। এ বিষয়ে কোনো রাজনৈতিক রং দেওয়া উচিত নয় ।তৃণমূল কংগ্রেসের সাথে আমাদের রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকলেও এই স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে আমরা সকলে একত্রিত হয়েছি।