নিজস্ব সংবাদদাতাঃ পাকিস্তানকে রোখার অভিযানে গিয়ে ১৯৮৪ সালে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর দেহ উদ্ধার করা যায়নি। যা বিশ্বের সর্বোচ্চ যুদ্ধক্ষেত্র সিয়াচেনে অস্বাভাবিক কিছু নয়। অবশেষে ৩৮ বছর ভারতীয় সেনার ল্যান্সনায়েক চন্দ্রশেখর হরবোলার দেহাবশেষ উদ্ধার করা হল। রবিবার সকালে উত্তরাখণ্ডের হলদিয়ানিতে বসে সেই খবর পান ল্যান্সনায়েক চন্দ্রশেখরের স্ত্রী শান্তিদেবী। প্রয়াত জওয়ানের ৬৩ বছরের স্ত্রী'কে খবর দেন ভারতীয় সেনার ১৯ কুমায়ুন রেজিমেন্টের আধিকারিকরা। তিনি বলেন, ‘যখন আমায় জানানো হয় যে শনিবার সিয়াচেন হিমবাহের একটি পুরনো বাঙ্কারে ওর দেহাবশেষ পাওয়া গিয়েছে, তখন আমি হতবাক হয়ে যায়। মাথা কাজ করছিল না। আমি কিছু বলে উঠতে পারছিলাম না। প্রায় ৩৮ বছর হয়ে গিয়েছে। ধীরে-ধীরে সব পুরনো ক্ষত তাজা হয়ে উঠল।’ রবিবার ল্যান্সনায়েক চন্দ্রশেখর হরবোলাের স্ত্রী বলেন, 'আমার বয়স যখন ২৫, তখন ও নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল। আমরা ১৯৭৫ সালে বিয়ে করেছিলাম। ন'বছর পর ও নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল। সেইসময় আমার দুই মেয়ে খুব ছোটো ছিল - একজনের বয়স ছিল চার (কবিতা) এবং অন্যজনের বয়স মেরেকেটে দেড় বছর (ববিতা) ছিল।'
/)
তিনি বলেন, 'আমরা তর্পণ সেরে ফেলেছিলাম। আমার সন্তানদের বড় করার জন্য জীবন উৎসর্গ করে দিয়েছিলাম। প্রচুর বাধা-বিপত্তি সত্ত্বেও গর্বিত মা এবং শহিদ জওয়ানের সাহসী স্ত্রী হিসেবে আমার সন্তানদের বড় করে তুলেছি।'