নিজস্ব সংবাদদাতাঃ রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের তরফে জইশ জঙ্গি আব্দুল রউফ আজহারের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারির আর্জি জানিয়েছিল ভারত ও আমেরিকা। কিন্তু সেই আর্জি স্বীকৃত হওয়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় চিন। পাকিস্তানে বসবাসকারী ওই জইশ জঙ্গিকে বাঁচানোর জন্য চিন যে চেষ্টা চালাল, তা নিয়েই এবার মুখ খুলল ভারত। তীব্র সমালোচনা করা হল চিনের। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী চিনের ব্যাপক সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, “এটি অত্য়ন্ত দুঃখজনক ও অনুশোচনামূলক ঘটনা যে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধেও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এক সুরে কথা বলে না।”
শুক্রবার এই বিষয়ে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী বলেন, “বিনা যুক্তিতেই কোনও প্রস্তাবনা আপাতত স্থগিত রাখা বা আটকে দেওয়ার রীতি বন্ধ করতে হবে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক যে যথাযথ আসল তথ্য প্রমাণ জমা দেওয়া সত্ত্বেও বিশ্বের অন্যতম কিছু সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে দেওয়া প্রস্তাবনাগুলোকে আপাতত স্থগিত করে রাখা হয়েছে। দ্বিচারিতা ও ক্রমাগত রাজনীতির কারণে নিরাপত্তা পরিষদের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে।” তিনি আরও বলেন, “জইশ-ই-মহম্মদের ডেপুটি প্রধান আব্দুল রউফ আজহার ১৯৯৮ সালে ভারতীয় বিমান আইসি ৮১৪-র হাইজ্যাকিং ও সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত ছিল। ২০১১ সালে ভারতীয় সংসদে হামলা, ২০১৪ সালে কাঠুয়ায় সেনাছাউনিতে হামলা ও ২০১৬ সালে পাঠানকোটে বায়ুসেনার ছাউনিতে হামলার পিছনেও আজহারেরই হাত ছিল। ভারত ও আমেরিকার তরফে ইতিমধ্যেই তাঁর উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এরপরও এই ধরনের মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গির উপরে নিষেঝধাজ্ঞা ঘোষণাকে আটকে রাখা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না।”