নিজস্ব সংবাদদাতাঃ পাকিস্তান জুড়ে ১৪ অগস্ট স্বাধীনতা দিবস পালিত হলেও তাতে অংশ নেন না বালুচিস্তান। দেশের মাটিতে পাক সেনার অত্যাচারের ভয়ে গুটিয়ে থাকলেও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা স্বাধীনতাপন্থী বালুচরা ১১ অগস্ট পালন করেন তাঁদের স্বাধীনতা দিবস। এবারেও জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, দক্ষিণ কোরিয়া-সহ বিভিন্ন দেশে পরবাসী বালুচরা ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্তির সেই দিনটিকে স্মরণ করেছেন। দাবি তুলেছেন, পাকিস্তান আর তার দোসর চিনের শোষণ থেকে মুক্তির।
১৯৪৭ সালের ১১ অগস্ট ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্ত হয়েছিল দেশীয় রাজ্য কালাত। ১২ অগস্ট কালাতের শাসক মির সুলেমান দাউদ স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু সেই স্বাধীনতার মেয়াদ ছিল মাত্র সাত মাস। ১৯৪৮-এর ২৭ মার্চ পর্যন্ত। বালুচিস্তানের মানুষের কাছে সেই দিনটা আজও যন্ত্রণার ‘পরাধীনতা দিবস’। সাত দশক আগে ওই দিনেই পাকিস্তানি সেনা দখল করেছিল বালুচিস্তান। অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তৎকালীন শাসককে বাধ্য করেছিল পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত হতে। বালুচিস্তানের পরবর্তী ইতিহাস ফের নতুন স্বাধীনতার যুদ্ধের। রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস আর কয়েক হাজার মানুষের নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার। ‘বালুচিস্তানের গাঁধী’ বলে পরিচিত স্বাধীনতাপন্থী নেতা আবদুল কাদির বালুচ বছর কয়েক আগে দিল্লি এসে বলেছিলেন, তাঁরা চান ১৯৭১-এ ভারত যেভাবে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছিল, সেভাবেই পাশে দাঁড়াক বালুচিস্তানের। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে বালুচিস্তানের উপর পাক নিপীড়ন বন্ধের জন্য আন্তর্জাতিক মঞ্চে সরব হওয়ার আবেদনও জানিয়েছিলেন তিনি।