নিজস্ব সংবাদদাতাঃ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে গরম বেড়েছে। এবার আগের তুলনায় বেশি পরিমাণে গলছে সুইস আল্পস হিমবাহ। আর হিমবাহ গলতেই বেরিয়ে আসছে একের পর এক নানা জিনিসপত্র। সম্প্রতি, একটি বিমানের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার হয়েছে। এছাড়াও পাওয়া গিয়েছে মানুষের দেহাংশ। মনে করা হচ্ছে, ৫০ বছরের বেশি আগে এই ছোট বিমানটি হিমবাহে ভেঙে পড়েছিল। পুলিশ জানিয়েছে, ১৯৬৮ সালের ৩০ জুন পাইপার চেরোকি নামের ছোট বিমানটি আল্পস হিমবাহে ভেঙে পড়েছিল। হিমবাহ থেকে উদ্ধার হওয়া বিমানের ধ্বংসাবশেষ ও মানুষের দেহাংশ সম্পর্কে তথ্য সুইস সিকিউরিটি ইনভেস্টিগেশন সার্ভিসকে জানানো হয়েছে। ক্যান্টনাল পুলিশকেও জানানো হয়েছে।
হিমবাহবিদ ড্যানিয়েল ফারিনোটি নিউজউইককে বলেছেন, "হিমবাহের বরফ প্রায় সব কিছু সংরক্ষণ করে, যা বহু বছর এবং দশক আগে সেখানে জমা হয়েছিল। গাছপালা এবং প্রাণীর অবশিষ্টাংশ থেকে পর্বতারোহীদের ফেলে যাওয়া সরঞ্জাম, খাবার এবং আবর্জনা সংরক্ষিত থাকে।" কিছু দিন আগেই আল্পস হিমবাহের একদিকের একাংশ ভেঙে পড়েছিল। হিমবাহে চাপা পড়ে কিছু অভিযাত্রীর মৃত্যু হয়। সুইস গ্লেসিওলজিস্ট অ্যান্দ্রিয়াস লিন্সবোয়ের জানিয়েছেন, গ্রীষ্মকালে আল্পসের বরফ গলার সময়। এ বছর খুব বেশি পরিমাণে বরফ গলেছে। যেহেতু গ্রীষ্মকালে হিমবাহ গলে যায়। তাই সম্ভবত বরফ থেকে আরও কিছু সরঞ্জাম বা ধ্বংসাবশেষ পাওয়া হবে। জানা গিয়েছে, গত শতাব্দীতে আল্পস পর্বতে প্রায় ৩০০ জন নিখোঁজ হয়েছেন। তাঁদের অধিকাংশই সম্ভবত মারা গিয়েছেন।