দিগ্বিজয় মাহালী, মেদিনীপুরঃ বিদ্যুৎ বিল ২০২২ বাতিলের দাবিতে পথে নামল সারা বাংলা বিদ্যুৎ গ্রাহক সমিতি তথা 'অ্যাবেকা'। সোমবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা জুড়ে বিক্ষোভ মিছিল করে সংগঠনটি। পোড়ানো হয় বিদ্যুৎ বিলের সার্কুলার। ৮ আগস্ট 'সারা ভারত কালা দিবস'-এর ডাক দিয়েছিল অল ইন্ডিয়া ইলেকট্রিসিটি কনজিউমারস অ্যাসোসিয়েশন (AIECA)। সেই মতো মেদিনীপুরে জেলা শাসক দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ দেখান বিদ্যুৎ গ্রাহকরা। মিছিলও করে শহরে। জেলা শাসক দপ্তরের সামনে পোড়ানো হয় বিলের প্রতিলিপি। অগ্নি সংযোগ করেন অ্যাবেকার রাজ্য সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য চণ্ডীচরণ হাজরা।
বিক্ষোভের জেরে কিছুক্ষণ রাস্তা অবরোধ হয়। উপস্থিত ছিলেন- চণ্ডীচরণ হাজরা, দীপক পাত্র, অশোক ঘোষ প্রমুখ। সেখান থেকে মিছিল যায় শহরের ফকিরকুঁয়া সংলগ্ন বিদ্যুৎ দপ্তরে। সেখানেও চলে বিক্ষোভ। চণ্ডীবাবু বলেন, "এই কালা বিল আইনে পরিণত করতে উঠে পড়ে লেগেছে বিজেপি সরকার। বিদ্যুৎ ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ রূপে কর্পোরেটদের হাতে তুলে দিতে ২০২০ সাল থেকে লকডাউনের সুযোগ নিয়ে চেষ্টা করে যাচ্ছে মোদী বাহিনী। বিদ্যুতের মতো অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা ক্ষেত্রকে কর্পোরেটদের লুটের মৃগয়া ক্ষেত্রে পরিণত করতে চাইছে। সোমবার ওই সর্বনাশা বিল সংসদে পেশ করা হচ্ছে, যা তারা আইনে পরিণত করবে। এর ফলে দেশের গরীব-মধ্যবিত্ত ঘরে নেমে আসবে কালো অন্ধকার। কার্যত বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে পারবে না। যা ভারতবাসীর কাছে কালো দিন।
বিদ্যুৎ কর্মচারী ও ইঞ্জিনিয়ার্সদেরও কোনো নিরাপত্তা থাকবে না।" এই বিলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ আন্দোলনের ডাক দিয়েছিল অ্যাবেকা। মেদিনীপুর শহর ছাড়াও বেলদা, পিংলা, সবং, খাকুড়দাতে বিক্ষোভ কর্মসূচী। সংগঠনটি জানিয়েছে, নতুন বিদ্যুৎ বিল সংসদে পেশ করার প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে। এই বিল সংসদে গৃহীত হলে সাধারণ মানুষের ওপর বিলের বোঝা বাড়বে। এই বিল জনবিরোধী। ফলে সরকারকে এই বিল প্রত্যাহার করতে হবে। এদিন সংসদে এই বিল পাশের বিরোধিতা করে কালা দিবস পালন করা হচ্ছে। মিছিল শেষে বেলদা ট্রাফিক স্ট্যান্ডের সামনে বিদ্যুৎ বিলের সার্কুলারের প্রতিলিপি পোড়ানো হয়।