নিজস্ব সংবাদদাতাঃ এক সময় ব্যাঙ্কের সাফাই কর্মী হিসাবে কাজ করেছেন তিনি স্টেট ব্যাঙ্কে। পরবর্তীকালে দেশের বৃহত্তম ব্যাঙ্কেই পেয়েছেন অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজারের পদমর্যাদা। যাত্রাপথটা ততটা সহজ ছিল না প্রতীক্ষা টোণ্ডওয়ালকর-এর। পরিবারের অবস্থা ভাল ছিল না তার।
তিনি জানিয়েছেন, সন্তানের জন্য সকালে ব্যাঙ্কে ২ ঘণ্টা সাফাইকর্মীর কাজ করতেন তিনি। পরে সারাদিন ছোটখাটো কাজ করেই চালাতেন সংসারের হেঁশেল। রোজ ব্যাঙ্কে অফিসকর্মীদের দেখে ভালোই লাগত তার। কীভাবে অফিসে কাজ পাওয়া যায়, তা নিয়ে খোঁজ শুরু করে দেন তিনি। সেই থেকেই মনে জেদ চেপে যায় প্রতীক্ষার। আত্মীয় ও ব্যাঙ্কের সহায়তায় ফের পড়াশোনা শুরু করে দেন । পরিবারের লোকজনই তাঁর বইয়ের খরচ জোগান। সেই চেষ্টা বিফলে যায়নি। ৬০ শতাংশ নম্বর নিয়ে দশম শ্রেণি উত্তীর্ণ হন তিনি। পরবর্তীকালে সাইকোলজিতে গ্র্যাজুয়েশন সম্পূর্ণ করেন এই মহিলা। এরপর ব্যাঙ্কে পান ক্লার্কের কাজ। শুরু হয় উত্তরণের পথ। এরপরে ২০০৪ সালে ট্রেনি অফিসার পদে নিযুক্ত হন প্রতীক্ষা। তারও পরবর্তীকালে পান স্টেট ব্যাঙ্কের অ্যাসিসট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার পদমর্যাদা। এভাবেই প্রমাণিত হয় যে কঠোর প্রচেষ্টা মানুষকে উন্নতির শিখরে নিয়ে যেতে সক্ষম।