নিজস্ব সংবাদদাতাঃ ক্রমশই ‘চিনের ইউক্রেন’ হওয়ার আশঙ্কা বাড়ছে তাইওয়ানের। চিনা বিদেশ এবং প্রতিরক্ষা দফতরের তরফে ধারাবাহিক ভাবে তাইওয়ানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপের হুঁশিয়ারির মধ্যে এবার প্রত্যাঘাতের প্রস্তুতি শুরু করেছে প্রয়াত চিয়াং কাইশেকের দেশ। আমেরিকার সংবাদ মাধ্যমের দাবি, চিন সাগরে ইতিমধ্যেই যুদ্ধের মহড়া শুরু করেছে তাইওয়ান নৌসেনা। সম্ভাব্য চিনা আগ্রাসন ঠেকাতে উপকূল বরাবর অবস্থান নিচ্ছে দ্বীপরাষ্ট্রের স্থলসেনা। শুরু হয়েছে আকাশপথে চিনা পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)-কে ঠেকানোর প্রস্তুতিও! এর পাশাপাশি, তাইওয়ানের সক্ষম নাগরিকদের একাংশকে যুদ্ধ পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়াও শুরু করেছে সেদেশের সেনা। সোমবারও আমেরিকার কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অফ রিপ্রেজেনটেটিভসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের ‘পরিকল্পনা’ নিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছে চিন। সোমবার পিএলএ-র ৯৫তম প্রতিষ্ঠা দিবসে বেজিং ফের জানিয়েছে, সার্বভৌমত্ব এবং ভৌগোলিক অখণ্ডতা রক্ষার জন্য প্রয়োজনে সামরিক পদক্ষেপ করা হবে তাইওয়ানের বিরুদ্ধে। প্রসঙ্গত, ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে চিন এবার তাইওয়ান দখলে সক্রিয় হতে পারে বলে সামরিক ও কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের ধারণা। কারণ, এক-চিন নীতির প্রবক্তা বেজিংয়ের কমিউনিস্ট নেতৃত্ব কখনও পৃথক রাষ্ট্র হিসেবে তাইওয়ানের অস্তিত্ব মানে না।